আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
দেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ। জনজীবনে হাসফাস অবস্থা। এমতাবস্থায় বেশি বেশি পানি পান এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এ পরামর্শকে যেন গুরুত্বই দিচ্ছে না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। তীব্র দাবদাহের মধ্যেও সরাসরি ক্লাস-পরীক্ষা চলমান তো রেখেছে। পাশাপাশি আবাসিক হলগুলো সুপেয় পানির সংকটের সমাধান না করে উল্টো চাহিদার কম পানি নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিয়েছে।
সম্প্রতি চবির জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীদেরকে দৈনিক ২ লিটারের বেশী পানি না নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ কে এম রেজাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের সকল ছাত্রীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ২/৩ মাস পর পর পানির ফিল্টারের টেপ ও মেশিন এর পার্টস বার বার ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা করার ও সবাইকে পানি ফিল্টার ব্যবহারে আরো সংযত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হল। দৈনিক ২ লিটারের চেয়ে বেশি পানি যেন না নেওয়া হয় এবং একবার পানি নেওয়ার পর যেন ফিল্টারে পানি জমা হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হলের হলের ছাত্রীরা বলেন, পানির সমস্যা দীর্ঘদিন থেকে হয়ে আসছে। ছাত্রীদের তুলনায় পানির টেপ অনেক কম। এগুলো টেপ কয়েকদিন পর পর নষ্ট হয়ে যায়। নষ্ট টেপ মেরামত করা হলেও তা পরিবর্তন করা হয় না। পানি নিতে ধরতে হয় লম্বা লাইন। তীব্র তাপদাহের কারণে অনেক ক্ষেত্রে ২ লিটারের বেশি পানি আমাদের প্রয়োজন হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, পানি পান করা অনেক সময় সিজনের উপর নির্ভর করে। বর্তমান তীব্র তাপদাহে কমপক্ষে ৩/৪ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। শীতকালে পানি কম লাগলেও গ্রীষ্মকালে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলের প্রভোস্ট ড. একেএম রেজাউর রহমান বলেন, আমরা এ বিষয়ে হলের ছাত্রীদের সাথে বিস্তারিত কথা বলেছি। হলে পানির সমস্যা নিয়ে কাজ করছি।আশা করি অতি দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।