আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সোমবার (২৭ মে) দিনভর একটি জাহাজও চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ানো যায়নি। জেটিতে কোনো জাহাজ না থাকায় পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। মূলত বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে জাহজ ভেড়ানো যায়নি।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে রোববার (২৬ মে) সকালের জোয়ারে বন্দরের জেটি থেকে ১৯টি জাহাজকে গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই কারণে বন্দর জেঁটি ফাঁকা হয়ে যায়। বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার পর রেমেল দুর্বল হয়ে পড়লেও এখনো উত্তাল রয়েছে সাগর ও কর্ণফুলী নদী। ফলে সেই জাহাজগুলোকে এখনো বন্দরের জেটিতে ভেড়ানো যায়নি।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেতও প্রত্যাহার করে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলার পর সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম বন্দরের সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়। এর আগে সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ৩টার জোয়ারে সাগর থেকে ১৯টি জাহাজ জেটিতে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু প্রচণ্ড ঢেউ থাকায় বন্দরের পাইলটরা সাগরে নোঙর করে রাখা জাহাজে যাওয়ার সুযোগ পাননি। ফলে একটি জাহাজও জেটিতে আনা যায়নি। এই কারণে বন্দরের কার্যক্রম পুরোদমে সচল হয়নি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর থেকে কোনো জাহাজ জেটিতে আনা যায়নি। তবে পচনশীল নয়, এমন পণ্য বন্দর চত্বর থেকে খালাস হচ্ছে।
আজকের সারাদেশ/জেএম