ভোর ৫:৪৯, মঙ্গলবার, ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে চবিতে মানববন্ধন

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন

বাংলাদেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘বৈষম্যমূলক কোটা প্রত্যাহার চাই’; ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড হাতে প্রতিবাদ করে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মানবন্ধনে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহিজুল ইসালম বলেন, আমরা ২০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই, তারা দেশের সূর্য সন্তান। কিন্তু তাই বলে তাদের সন্তান এমনকি নাতি-নাতনিরাও পরিশ্রম কম করে কোটার ভিত্তিতে চাকরিতে যোগদান করবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কোনো দেশের স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থা হতে পারে না।

একই বিভাগের শিক্ষার্থী মাশরুর আহমেদ বলেন, দেশের বিপুল সংখ্যক বেকার থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের ওপর কোটার মতো বৈষম্যমূলক নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া কী সঠিক সিন্ধান্ত? এ নিয়মের ফলে বেকার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। আর আমরা এখানে কোন সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে আসিনি, আমরা শুধু আমাদের অধিকার আদায়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। হাইকোর্টের প্রতি সম্মান রেখে আমরা বলতে চাই, হাইকোর্ট যেন মুক্তিযুদ্ধা কোটার পুনর্বহাল রুল বাতিল করে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের পরে নাতি-নাতনিরাও কোটা সুবিধা ভোগ করছেন। প্রাইমারিতে নারী কোটার আধিক্য এবং রেলওয়েতে প্রায় ৮০ শতাংশ কোটা রয়েছে। নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনরায় চালু হলে সাধারণ মেধাবীরা শিক্ষার্থীরা হারিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তো কোন দোষ করিনি। শুধু যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ চেয়েছি। কোটা পদ্ধতি পুনরায় চালু হলে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা সরকারি চাকরিতে স্থান পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। যেটি আমাদের জন্য কষ্টের, কারণ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরির সুযোগ হারাতে হবে।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সর্বশেষ সংবাদ