আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
বোয়ালখালীতে হেফজখানার এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে একটি চোখ নষ্ট করে ফেলার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীর অভিভাবক। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মোছাম্মৎ শাহিন আক্তার।
ওই শিক্ষার্থীকে পেটানোর পর বিষয়টি গোপন রেখে নিজেদের মতো করে চিকিৎসা করানোর কারণে চোখ নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তারা বলেন, যখন চোখে আঘাত পেয়েছে তখন যদি ভালো চিকিৎসা পেত তাহলে হয়তো চোখটি রক্ষা পেত। চোখে আঘাত পাওয়ার পর তারা নিজেদের মতো করে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই একটি ড্রপ ব্যবহার করেছেন যার কারণে চোখ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ছেলের এমন অবস্থা দেখে কোন কুল কিনারা না পেয়ে মা স্বপ্না আক্তার মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরের দিকে দ্বারস্থ হয়েছেন বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ইমরান হোসাইন সজীবের। তিনি ছেলের সুচিকিৎসা ও এ ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বোয়ালখালীর জুটপুকুর পাড় এলাকায় বাঘের শ্রীকত তাহফিজুল কুরআন হেফজখানা ও এতিমখানা মাদ্রসায় গত ২৬ মে শিক্ষার্থী আয়াতুলের চোখে আঘাত করে অভিযুক্ত শিক্ষিকা। যা গোপন রাখে এই শিক্ষিকা।
অভিযোগপত্রে স্বপ্না আক্তার উল্লেখ করেন, মোছাম্মৎ শাহিন আক্তার আমার ছেলেকে পড়া কম পড়ার অজুহাতে বেড়ধক বেত্রাঘাত করে তার বাম চোখের দৃষ্টি নষ্ট করে ফেলে। সকল চিকিৎসা শেষ করে চিকিৎসকরা জানিয়েছে, আমার ছেলের চোখের মণিতে ব্যাপক আঘাত হওয়ায় সে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে।
এমতাবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যক্তির স্মরণাপন্ন হয়েছি। গত ২৬ মে ওই শিক্ষিকা চোখে আঘাত করে; যা গোপন রাখা হয়। এছাড়া বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়েছি। পরিবারকে ছেলের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। সেই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছি।
ভুক্তভোগীর বাবা সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ছেলেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। ভালো অগ্রগতিও হয়েছে আমার ছেলের। হঠাৎ ছেলের এমন অবস্থায় আমরা পুরো পরিবার মর্মাহত। ডাক্তার বলেছে আমার ছেলে এক চোখের দৃষ্টি হারিয়েছে।