নিজস্ব প্রতিবেদক
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ঘরবাড়িতে হামলা, শারীরিক নির্যাতন এবং হয়রানির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পারভীন আক্তার। এ ঘটনায় ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ১ আগস্ট নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর মামলাটি দায়ের করেন তিনি। এর আগে গত ২৮ জুলাই ভুক্তভোগীর নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পারভীন কবিরহাট উপজেলার দক্ষিণ জগদানন্দ গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে। এছাড়া অভিযুক্তরা হলেন: জাহিদুল ইসলাম কালন, আব্দুল মালেক, সোহেল, আব্দুল শুকুর, মো. ইলিয়াছ, নয়ন বেগম এবং বিবি আয়েশা ওরফে শিল্পী।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তদের এবং ভুক্তভোগীর বাড়ি পাশাপাশি। হাঁস, মুরগী, গাছপালাসহ তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ ছিলো। ভুক্তভোগীর স্বামী না থাকায় আসামীরা এসব ঘটনার জেরে পারভীন আক্তারকে মারধর করতেন। এছাড়া হাঁসমুরগি এবং গাছপালা কেটে নেওয়ার সময় বাঁধা দিলে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম ভুক্তভোগীর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। একই সময় অভিযুক্ত আব্দুল মালেক তার গলা চেপে ধরেন। এছাড়া অভিযুক্ত সোহেল লাঠি দিয়ে পিঠে এবং হাতের কবজিতে আঘাত করেন৷
ঘটনাস্থলে থাকা হোসনেআরা বেগমকেও অভিযুক্ত আব্দুল শুকুর মারধর করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগও উঠেছে আসামীদের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী পারভীন আক্তার বলেন, আমার স্বামী না থাকায় অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন আমার উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে। প্রভাব খাটিয়ে এলাকার সালিশ বা আইন কোনো কিছু মানেন না তারা। অভিযুক্তরা আমাকে মারধরের পাশাপাশি সম্মানহানি করেছে। শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং লাঞ্চিত করেছে। আমি আদালতে মামলা দেওয়ার পর কবিরহাট থানায় এসআই বিপ্লব আমাকে ডেকে বলেছে টাকা পয়সা নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে ফেলতে। আমি সেটা চাই না। আমি বিচার চাই। আমার প্রতি অনেক অন্যায় করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে কবিরহাট থানার এসআই বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এখানে মিটমাটের কোনো সুযোগ নেই। মামলাটি তদন্তাধীন আছে। তদন্তের স্বার্থে বাদিকে আমরা ডেকেছিলাম। বাকিটা সকল প্রমাণাদির ভিত্তিতে আমরা আদালতের রিপোর্ট জমা দিবো।