আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
শ্বশুরকে হত্যা করেছিলেন স্বামী আর তাঁর বড় ভাই। এখানেই ক্রান্ত হননি দুই ভাই, হত্যার পর বাবার সেই লাশ গুম করতে ১০ টুকরো করেছিলেন। সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডে ‘জড়িত’ না থাকলেও স্বামী শফিকুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরের খণ্ডিত মাথা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ফেলে দিয়েছিলেন আনারকলি। পরে অবশ্য অপরাধ করেছেন, সেই বোধোদয় হয় ওই নারীর।
অক্টোবর মাসের শুরুতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে ধরা পড়েন আনারকলি। এরপর সেই মাথার খণ্ডিত অংশ উদ্ধারে পুলিশের সঙ্গে সমুদ্র সৈকত এলাকায় গিয়েছিলেন আনারকলিও। আর সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, কোনো দ্বিধা ছাড়াই তিনি দেন খুনের বর্ণনা। আর লাশের খণ্ডিত অংশ গুমে সহায়তার জন্য হন অনুতপ্তও। নিজের দোষ অবলিলায় স্বীকার করে আনারকলি বলতে থাকেন, ‘না আমি নির্দোষ দাবি করছি না। আমি দোষী। আমি কি আপনাদের একবারও বলেছি আমি নির্দোষ। তখন আমার আবেগ কাজ করেছে, বিবেক কাজ করেনি। তখন যদি আমার বিবেক কাজ করতো, তাহলে এত বড় পাপে নিজেকে জড়িয়ে পড়তাম না।’ আনারকলির সেই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছিল তখন। নেদারল্যান্ডসের কাছে বাংলাদেশের লজ্জার হারের আবারও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছেন আনারকলি।
তবে এবার আনারকলির মুখমণ্ডল সম্পাদনা করে তৈরি করা একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। সেই ভিডিওতে আনারকলির মুখমণ্ডলের জায়গায় সাকিব আল হাসানের মুখচ্ছবি বসিয়ে বাজিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই কথাগুলো,-‘আমি দোষী, আমি কি আপনাদের একবারও বলেছি আমি নির্দোষ।’ কেউ কেউ সেই ভিডিওর সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষের খোঁচা মেরে উইকেটকিপারের দস্তানায় ক্যাচ দিয়ে সাকিবের ফেরার মুহূর্তটিও যুক্ত করে দিয়েছেন। মূলত প্রিয় দলের হারের হতাশা থেকে এমন ভিডিও তৈরি ও শেয়ার করছেন বলে জানিয়েছেন সমর্থকেরা।
সাফিয়ান আমান নামের একজন সেই ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘বিশ্বকাপে যাবার আগে অনেক স্বপ্নই দেখিয়েছিলাম, এখন পারিনি-আমাদের ভুল হয়ে গেছে।’
আরিয়ান খান নামের আরেক তরুণ একই ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমি খেলা দেখার কারণে দোষী। আমি কি আপনাদের একবারও বলেছি-আমি নির্দোষ।’
এভাবেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। কেউ দিয়েছেন ভিডিও হিসেবে, কেউবা রিল। হারের বৃত্তে ডুবে থাকা দল নিয়ে হতাশ হয়ে পড়া সমর্থকেরা যেন এ থেকেই একটু আনন্দ খুঁজে নিচ্ছেন।
আজকের সারাদেশ/একে