আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বর্তমান সচিব ও সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে ফলাফল কেলেংকারীর অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কলেজ-১) মো. তারিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কমিটি করা হয়।
তদন্ত কমিটির তিন সদস্য হলেন- মাউশির পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং) প্রফেসর মো. আমির হোসেন, সহকারী পরিচালক (এইচআরএম) আশেকুল হক, ইউএমআইএস সেলের খন্দকার আজিজুর রহমান।
১৭ তারিখ জারি করা ওই অফিস আদেশে অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে অধিদপ্তরে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র নাথ, বর্তমান সচিব ও সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড-এর বিরুদ্ধে পরীক্ষার ফল জালিয়াতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। পত্রে উল্লিখিত অভিযোগসমূহ সরেজমিনে তদন্তের জন্য তদন্ত টিম গঠন করা হলো।
এদিকে, বোর্ডসচিব অধ্যাপক নারায়ণণ চন্দ্র নাথ বর্তমানে দায়িত্বে থাকায় নিরপেক্ষ তদন্ত নিয়ে সন্দিহান বোর্ড সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে গত ১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা বিভাগের উপসচিব শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের বর্তমান সচিব এবং চেয়ারম্যানের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চিঠিতে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বোর্ড সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে। প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে পাশ করিয়েছেন, এমন সন্দেহে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন জানিয়েছেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। সে সময় রহস্য উন্মোচনে তদন্ত এবং প্রভাবমুক্ত পুনঃনিরীক্ষণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষাবিদেরা। কিন্তু সেটিও একসময় ধামাচাপা পড়ে যায়। পুনঃনিরীক্ষণ থামাতে গত ৫ নভেম্বর নগরের পাঁচলাইশ থানায় জিডি করেন বোর্ড সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথের স্ত্রী বনশ্রী নাথ।
আজকের সারাদেশ/একে