আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
যানবাহনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল বৃদ্ধর বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরুকে চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রামের পরিবহন নেতারা।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর সার্কিট হাউসে যানবাহনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পুনর্বিবেচনা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সরাসরি সচিবের হাতে চিঠি তুলে দেন পরিবহন নেতারা।চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মনজুরুল আলম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বন্দর ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক ও কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদ জহুর আহমদ পরিবহন নেতাদের পক্ষে সচিবের কাছে চিঠি হস্তান্তর করে।
এসময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরু বলেন, ‘দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। এই মুহূর্তে ঢাকা শহরে লক্ষরঝক্কর গাড়ি পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ। তবে চট্টগ্রাম এদিক থেকে অনেক ভাল পর্যায়ে আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জাতির জনক জনগণের প্রতি যে ওয়াদা দিয়েছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। তা আজ প্রত্যেকটি সেক্টরে উন্নয়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’
এসময় জেলা প্রশাসন, বিআরটিএ ও সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া পরিবহন নেতাদের মধ্যে ছিলেন মোরশেদুল আলম কাদরী, আহসানুল্লাহ চৌধুরী হাসান, আবদুর রহমান,
আজিম খান, মোশারাফ,ফারুক খান, মো. শওকত,আবুল বসর, মো. জাফর, মো. মনসুর রহমান,
মো. শাহজাহান, হাসান, জাবের, মো. ইসহাক, মনছুর আলম প্রমূখ।
সম্প্রতি দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনা, সড়কে নিরাপত্তা
নিশ্চিত করা, পরিবেশ দূষণ হ্রাস এবং সড়কে শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী মোটরযানের আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করে দেয় সরকার। যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাসের ২০ বছর এবং পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের ২৫ বছর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। পরিবহন নেতারা শুরু থেকেই এই দুই শ্রেণির যানবাহনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ৩০ বছর করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
আজকের সারাদেশ/১০জুন/এএইচ