রাত ৮:০৫, বুধবার, ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাসায় গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলা, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ধরল পুলিশ

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:

চট্টগ্রামে জাতীয় জরুরী সেবা-৯৯৯ এ ফোন পেয়ে একটি বাড়িতে হামলা করতে যাওয়া তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর ওই মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ও ছুরি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাকলিয়া থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। ঘটনাটি সোমবার রাতে ঘটলেও প্রকাশ হয়েছে আজ বুধবার।

গ্রেপ্তার তিন মাদক ব্যবসায়ী হলেন মো. ইফাজ সুলতান, তৌসিফ আহম্মেদ ও সার্জিল চৌধুরী আলভী। তাঁদের মধ্যে বহু মামলার আসামি ইফাজ হেফাজতে ইসলামের সাবেক নায়েবে আমির মুফতি মো. ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর দ্বিতীয় স্ত্রী হোসনে আক্তার জলি ওরফে জলি সোবহানের প্রথম ঘরের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, ইফাজ ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে আগেও মাদক মামলা হয়েছিল। এসব মামলায় তাঁরা জেলও খেটেছেন।

সোমবারের ঘটনায় করা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূ সাহিদা আক্তার রিটা ও হামলাকারী ইফাজের নানার বাড়ি একই এলাকায়। এই সূত্রে ইফাজ ও তাঁর মায়ের অতীতে মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত বেশ কিছু সংবাদের কপি মানুষজনকে দেখিয়ে এসবের প্রতিবাদ জানান রিটার ছোট ভাই সাজ্জাদ হোছাইন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন ইফাজ। সেজন্য দুজন সহযোগীকে নিয়ে ইফাজ গত সোমবার রাত ৭টার দিকে নগরীর চান্দা পুকুর পাড় এলাকায় অবস্থিত সাজ্জাদের বোন রিটার বাসায় যান। এ সময় রিটা দুই সন্তানকে নিয়ে বাসায় ছিলেন। তাঁর স্বামী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কর্মরত মো. জাকেরুল হক তাঁর কর্মস্থলে ছিলেন। ইফাজ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে রিটাকে ধাক্কা দেন। পরে ছুরির ভয় দেখিয়ে স্বর্নলংকার, টাকা পয়সাসহ মালামাল হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ জন্য তাঁরা আলমারি ও ওয়ারড্রব খুলে সোনা ও টাকা পয়সা খুঁজতে থাকেন। এর মধ্যেই কৌশলে রিটা বাথরুমে ঢুকে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন করেন। পরে খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই বাসায় হাজির হন পুলিশের সদস্যরা। পরে তিনজনকে আটক করেন তাঁরা। এ সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মালামাল হাতিয়ে নেয়ার জন্য হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁদের শরীরে তল্লাশি করে ছুরি ও মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়।

মামলার বাদি সাহিদা আক্তার রিটা বলেন, মদ্যপ অবস্থায় ইফাজসহ তিনজন আমার বাসায় ঢুকে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে সোনা ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতে আলমারি আর ওয়ারড্রব ভাঙচুর করেন। এ সময় আমি কৌশলে বাথরুমে ঢুকে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি জানাই। দ্রুত তাঁরা এসে আমি ও আমার দুই সন্তানকে উদ্ধার করেন এবং তিনজনকে আটক করে নিয়ে যান। তাদের কাছ থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ও ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম। তিনি বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা তিনজনকেই আটক করি। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ মামলা করেছেন। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।

আজকের সারাদেশ/১৪জুন/এএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেসের প্রথম দিনে আয় প্রায় ৫ লাখ

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতরা পাবেন আজীবন চিকিৎসা ভাতা

বিএনপির ৩১ দফা কেবল দেশ ও দেশের মানুষের জন্য

কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকে ভাটা, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

বোয়ালখালী পৌসভা নানা অনিয়মে গিলে খেয়েছে ‘সিন্ডিকেট’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে এখনো দাপুটে আওয়ামী লীগের শাহ আমানত ও জান্নাত ট্রেডিং

আ.লীগের ইন্ধনে শহীদ তানভীরের ভাইকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগের ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন

চবিতে ‘ক্যারিয়ার ইনসাইটস ও লাইফ লেসন’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

চবির টাঙ্গাইল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত