আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
জাপানে যৌন মিলনে সম্মতি বয়ষ ১৩ থেকে বাড়িয়ে ১৬ বছর করা হয়েছে। পরিবর্তন করা হয়েছে ধর্ষণের সংজ্ঞাকে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধর্ষণের সংজ্ঞাকে ‘জোরপূর্বক যৌন মিলন’ থেকে ‘সম্মতিহীন যৌন মিলন’ পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে আইনি বিচার চাওয়ার সময় ১০ বছর থেকে বাড়িয়ে ১৫ বছর করা হয়েছে। যৌন অপরাধ আইনে আনা পরিবর্তনকে ‘যুগান্তকারী’ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৬ জুন) নতুন আইনটি জাপানের সংসদে পাস হয়েছে। যেখানে ‘অসম্মতি’র আটটি পরিস্থিতির সুস্পষ্ট রূপরেখা তুলে ধরা হয়।
জাপানের আগের আইনে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য হওয়া ব্যক্তিদের রক্ষা করেনি বলে সমালোচনা ছিল। ১৯০৭ সালে কার্যকর হওয়ার পর প্রথমবারের মতো জাপানে সম্মতির বয়সে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর আগে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে জাপানের সম্মতির বয়স ছিল সর্বনিম্ন। তবে কমপক্ষে ১৩ বছর বয়সী ও যাদের বয়সের ব্যবধান পাঁচ বছরের কম তাদের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বজায় থাকবে।
দেশটিতে ২০১৯ সালে একাধিক ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তরা খালাস পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ওই বছরের এপ্রিল থেকে প্রতি মাসের ১১ তারিখে ন্যায়বিচারের দাবি ও যৌন নিপীড়নের শিকারদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে পুরো জাপানে বিক্ষোভ করে আসছিল অ্যাক্টিভিস্টরা।
যৌন অপরাধের বিষয়ে জাপানি আইনের বিস্তৃত সংশোধনের অংশ হিসেবে নতুন প্রস্তাবটির আসে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার পরিবর্তিত ধারাগুলো প্রকাশ্যে আসে।
তবে কিছু মানবাধিকার কর্মী বলছেন, এই সংস্কার সমস্যার একটি অংশই সমাধান করে। টোকিও-ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস নাউয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজুকো ইতো বলেছেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যৌনতা ও সম্মতি সম্পর্কে ছড়িয়ে থাকা ‘বিকৃত ধারণাগুলোর’ সমাধান হওয়া উচিত।
জাপানে যৌন সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা প্রায়ই কলঙ্ক ও লজ্জার কারণে বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আনেন না। এক সরকারি জরিপে দেখা যায় অভিযোগ আনার হার মাত্র ৬ শতাংশ।
আজকের সারাদেশ /১৬ জুন ২৩/জেএম