আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
চট্টগ্রামে চলতি মৌসুমে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা মাত্র ৬০ শতাংশ পূরণ হয়েছে। আড়তদাররা সাড়ে তিন লাখেরও বেশি চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল। তবে প্রথম দুই দিনে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র দুই লাখ ১০ হাজার। গত কয়েক বছর চামড়ার দরপতনের ফলে এবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা। এছাড়া চলতি বছর লবণের মূল্য বেশি। এটিও একটি কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মাঠ পর্যায়ে প্রতি পিস চামড়া দাম ছিল ২০০-৩০০ টাকায়। এরপর তা আড়তদারদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে ২৫০-৫০০ টাকায়। এরমধ্যে মাঠ পর্যায়ের সংগ্রহকারীদের পরিবহন ও অন্যান্য খরচ বহন করতে হয়েছে। লবণের বাড়তি দামের কারণে বেশি দামে চামড়া কিনতে পারবে না বলে আগেই জানিয়েছে দিয়েছিলেন আড়তদাররা।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন বলেন, “চট্টগ্রামে ৪০ জন আড়তদার চামড়া সংগ্রহ করেছেন এবার। গত কয়েক বছরে টানা দরপতনের ফলে মাঠ পর্যায়ে চামড়া সংগ্রহের আগ্রহ কমেছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। ফলে এ বছর আড়তদারদের দেওয়া চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় পূরণ হয়নি। এবার গাউসিয়া কমিটিসহ বিভিন্ন মাদ্রাসা এতিমখানার জন্য চামড়া সংগ্রহ করা হয়। সেগুলো তারা পৃথক পৃথক স্থানে লবণ দিয়ে সংরক্ষণে রেখেছে। এ কারণে আড়তে কম চামড়া এসেছে। তবে এটি ভালো হয়েছে। চামড়াও নষ্টের হার কমবে।”
আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চামড়া সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। কারণ দ্রুত প্রক্রিয়া করা না গেলে চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। এবার জেলা ও উপজেলার চামড়াগুলো শহরে আসেনি তেমন। এছাড়া বিভিন্ন মাদ্রাসা চামড়া সংগ্রহ করায় লক্ষ্য অর্জন হয়নি। জেলা-উপজেলায় অনেকে লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করে রেখেছেন, কিন্তু আড়তে পাঠাননি।
তবে সাধারণ মানুষের অভিযোগ সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়েছে ব্যবসায়ীরা। মাঠ পর্যায়ে নামমাত্র মূল্যে চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। দেড় লাখ টাকায় কেনা গরুর চামড়াও ৩০০ টাকার বেশি বিক্রি করা যায়নি। আর ছাগলের চামড়া তো কেউ কেনননি। ডাস্টবিনে ফেলা হয়েছে।
আজকের সারাদেশ/১ জুলাই ২৩/জেএম