আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে কথা কাটাকাটির জের ধরে রুমমেইট মাকসুদুর রহমান হত্যা মামলায় এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) ষষ্ঠ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এই রায় দেন। এ সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম মো. হোসেন (২৬)। সে সন্দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর এলাকার আদিক্কার বাড়ির মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। এবং মাকসুদের রুমমেইট।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নগরীর হালিশহর থানার বি-ব্লক, ২০ নম্বর লেইনে একটি কক্ষে ব্যাচেলার বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন মাকদুর রহমান মাকসুদ। একটি কক্ষে ব্যাচেলর বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ২০১৭ সালের ১২ মার্চ মাকসুদ ও হোসেনসহ চারজন বন্ধু চায়ের দোকানে চা পান করতে গেলে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে মাকসুদ আসাসি হোসনকে মারধর করে। মারধরের কথা এলাকার বড়ভাই ফরহাদের কানে যায়৷ এর কিছুক্ষণ পরে মাকসুদ ও হোসেন বড়ভাই ফরহাদের দোকানে গেলে দু’জনের ঝামেলা সমাধান করার চেষ্টা করে। সেখানে এক পর্যায়ে হোসেনের গলার কলার ধরে মাকসুদ। পরে দুইজন বাসায় চলে যায়।
একই বছর ১৩ মার্চ রাত তিনটার দিকে মাকসুদের রুমে ডুকে মাকদুসকে ছুরিকাঘাত করে হোসেন মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। মাকসুদের চিৎকার শুনে আশেপাশে মানুষজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওইদিন সকাল সাতটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মাকসুদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মাকসুদের ভাই মো. রিপন বাদী হয়ে একইদিন একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল অভিযোগ পত্র জমা দেন। একই বছরের ১১ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু আদেশ দেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু বলেন, ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত মাকদুস হত্যা মামলায় আসামি মো.হোসনকে মৃত্যুদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসএম