আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
চট্টগ্রামে প্রাণনাশের হুমকি ও ভরণ পোষণ না দেওয়ার অভিযোগে মো.ইয়াছিন নামে এক সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বৃদ্ধ বাবা হাফেজ আবুল মোজাফফর।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারজানা ইয়াসমিন আদালতে এই মামলা করেন।
জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে হাফেজ আবুল মোজাফফরের জমি জমা ও ঘর বাড়ি এককভাবে ভোগ করেন আসামি ছেলে মো.ইয়াছিন। সম্পত্তি ইয়াছিনের নামে হেবা করার জন্য বাবাকে নানা ধরণের চেষ্টা করেও না পেরে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে, ব্যবসার কথা এবং পরিবারের বিভিন্ন প্রয়োজনে ৩ রাখ ৭ হাজার ৪৩৫ টাকা ধার নেন ইয়াছিন। সেই টাকাগুলো ধার নিয়ে ফেরৎ দেয়নি। ২০১৬ সালে ৯ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে হেবা দলিলে স্বাক্ষর করে নেয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলার বাবা বাড়ি গেলে ছেলে বলে এই বাড়ি ও জায়গার মালিক আমি, বাড়ি থেকে এখন বের হয়ে যাও। ছেলে বাবাকে কোন ধরণের ভরণপোষণ কিংবা কোন ধরণের চিকিৎসা সেবা পর্যন্ত দেয় না। গত ১৬ মার্চ বাবা বাড়ীতে গেলে ধার নেয়া টাকাগুলো ফেরৎ চাইলে উত্তেজিত হয়ে ছেলে বলে ফেরত নেওয়ার জন্য জায়গা লিখে নেওয়া হয়নি। যদি জায়গা ফেরত নিতে চান, আমাকে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। না হলে আগামী দুই মাসের মধ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে হবে।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, প্রাণ নাশের হুমকি ও ভরণ পোষণ না দেওয়াসহ একাধিক অভিযোগে ছেলে মো.ইয়াছিন বিরুদ্ধে বৃদ্ধ বাবা হাফেজ আবুল মোজাফফর আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
হাফেজ আবুল মোজাফফর (৭৮), চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা মাইজ ভিলা এলাকার মৃত মৌলভী লাল মিয়ার ছেলে। তিনি নগরের গণি বেকারি হযরত মোল্লা মিসকিন শাহ (রাহ:) মসজিদে দীর্ঘ যাবত মোয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, প্রাণ নাশের হুমকি ও ভরণ পোষণ না দেওয়াসহ একাধিক অভিযোগে ছেলে মো.ইয়াছিন বিরুদ্ধে বৃদ্ধ বাবা হাফেজ আবুল মোজাফফর আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করেন লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
হাফেজ আবুল মোজাফফর (৭৮) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা মাইজ ভিলা এলাকার মৃত মৌলভী লাল মিয়ার ছেলে। তিনি নগরের গণি বেকারি হযরত মোল্লা মিসকিন শাহ (রাহ:) মসজিদে দীর্ঘ যাবত মোয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত।