আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
কিডনি রোগীরা রোজা রাখতে পারবে না এমন একটি কথা প্রচলন রয়েছে। এছাড়াও রক্তে সিরাম ক্রিয়েটিনিন ৫ এর ওপর চলে গেলে কিডনি রোগীদের রোজা রাখতে নিষেধ করা হয়। তারপরও যারা রোজা রাখতে খুব আগ্রহী তারা ২-১ টা রাখার পরে শারীরিক কোন খারাপ লাগলে বা প্রস্রাব কমে গেলে তাদের রোজা থেকে বিরত থাকা উচিত।
এই সময় কলা, কমলা, তেঁতুল, টমেটো, পালংশাক, মূলাশাক, পুঁইশাক, খেজুর, আলু বোখরা, কিসমিস, নোনতা বিস্কিট খাওয়া অনুচিত। লালশাক, ধনেপাতা, অতিরিক্ত আলু খাওয়াও নিষেধ। এইসব খাবারে পটাশিয়াম বেশি থাকে। অতিরিক্ত ইউরিক এসিডযুক্ত খাবার যেমন কলিজা, শিমের বীচি, বরবটি, শুটকি, সামুদ্রিক মাছ, বাছুরের মাংস পরিহার করতে হবে। অতিরিক্ত ফসফেটযুক্ত খাবার যেমন দুধ, ডাল, বাদাম, সয়াবিন খাওয়াও নিষেধ। চা, কফি, সোডা, চকলেট, জাম এগুলোতে অক্সালেট বেশি থাকে। এগুলোও পারতে খাওয়া উচিত না। অতিরিক্ত সাইট্রাস যুক্ত খাবার যেমন লেবু, মাল্টা ও আমলকি কম খাওয়া উচিত।
সবসময় খাওয়া যাবে মূলা, পিঁয়াজ, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ঢেড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, তিত করলা, ব্রকোলি, ফুলকপি, বীচি ছাড়া শসা, ডাটাশাক, হেলেঞ্চাশাক, কচুশাক। কম পটাশিয়াম যুক্ত খাবার যেমন আপেল, নুডলস, পেস্তা, পেয়ারা, আনারস, পাকা পেপে খাওয়া যাবে। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যেসব খাবার নিষেধ তাও ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে পরিহার করতে হবে। কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন ডিমের সাদা অংশ, পুকুরের মাছ, দেশি মুরগির মাংস অন্তত প্রতিদিন আধা ছটাক থেকে এক ছটাক খাওয়া উচিত।
ডালের পানি খেতে নিষেধ নেই, কিন্তু ঘন ডাল খাওয়া যাবে না। রোজা থাকলে ইফতারির পর থেকে সেহরি পর্যন্ত ৪-৬ গ্লাস পানি খেতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ মতো ঔষধের বিন্যাস করে নিতে হবে। চালের রুটি, পরিমাণ মতো ভাত, মুড়ি, চিরা খাওয়া যাবে, কিন্তু বুট, পিঁয়াজু, তেলে ভাজা বেগুনি না খাওয়াই উচিত।