আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার বাংলাদেশেও সহস্রাধিক গ্রামে কোরবানির ঈদ উদযাপন করেছেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা।
একই দিন চট্টগ্রাম, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা পবিত্র ঈদুল আজহার উদযাপন করেছেন।
সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফ ও চন্দনাইশের জাঁহাগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা ঈদ উদযাপন করে থাকেন। দরবার শরিফের অনুসারীরা বিশ্বের কোথাও চাঁদ দেখা সাপেক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও একদিন আগে পশু কোরবানি দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দনাইশ কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের শাহজাদা মাওলানা মো. মতি মিয়া মনসুর।
দরবার সূত্রে জানা যায়, সুফি সাধক সৈয়্যদ মাওলানা মোখলেসুর রহমান জাঁহাগিরি (র.) ২০০ বছর আগে থেকে বিশ্বের কোথাও চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহার নামাজ পালন করার নিয়ম প্রর্বতন করেন। তার সেই দেখানো পথে আজ অবধি এ নিয়ম মেনে আসছেন তার ভক্ত ও অনুসারীরা। এরপর থেকে দরবারের মুরিদরা একদিন আগে থেকে রোজা রাখা ও ইদ উদযাপন করে আসছেন।
হামিদ শাহ’র জাহাঁগিরী (নুরুল আরেফিন) ইমামতিতে মির্জাখীল দরবার শরীফে সকাল ৯টায় ও ড. মাওলানা মাকসুদুর রহমানের ইমামতিতে সকাল সাড়ে ৯টায় একই দরবারে দ্বিতীয় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের সৈয়্যদ মাওলানা আবদুর রহমান শাহ জাহাঁগিরী বলেন, ‘আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে বিশ্বের কোথাও চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সুফি সাধক সৈয়্যদ মাওলানা মোখলেসুর রহমান জাঁহাগিরি দেখানো পথ অনুসরণ করে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে আসছি।
চন্দনাইশ জাঁহাগিরিয়া দরবার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চন্দনাইশ উপজেলার জাঁহাগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের বর্তমান পীর সৈয়দ মোহাম্মদ আলী প্রদর্শিত এ পথ অনুসরণ করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যেসব গ্রামে ঈদুল আযহার পালন করবেন সেগুলোর মধ্যে চন্দনাইশ পৌরসভার বুলার তালুক, হরিনার পাড়া, ফকির পাড়া, সর্বল কাজী বাড়ি, চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর, হারলা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, ধোপাছড়ি , দোহাজারি, জামিজুরি, পশ্চিম এলাহাবাদ, উত্তর কাঞননগর, জুনিঘোনা, আব্বাসপাড়া, মাঝের পাড়া, দিঘির পাড়া, কুন্দুপাড়া, কেশুয়া, মোহাম্মদপুর, উত্তর হাশিমপুর, ছৈয়দাবাদ, খুনিয়ারপাড়া, শ্রীমাই, রুপকানিয়া, জলদী, গুনাগরি, কালিপুর, গন্ডামারার, মিরিঞ্জিরতলা, ছনুয়া, সাধনপুর, তৈলারদ্বীপ, বাথুয়া, বারখাইন, চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, বড়হাতিয়া, চুনতি, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, বাংলাবাজার, মইশামুড়া, খোয়াছপাড়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, গাটিয়াডাঙ্গা, পুরানগড়, মনেয়াবাদসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের লক্ষাধিক অনুসারীগণ ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন।
এছাড়া বোয়ালখালী, হাটাহাজারী, সন্দীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, হাতিয়া, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, বরিশাল,পটুয়াখালী, বরগুণা,ঝালখাটি,খুলনা, নরসিংদি, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সহস্রাধিক গ্রামে মির্জাখীল ও জাহাঁগিরিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা পৃথক পৃথক ঈদের জামাতে শামিল হয়েছেন।
আজকের সারাদেশ/২৮জুন/এসএম