রাত ৮:৫০, বৃহস্পতিবার, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষকের কষ্টের ফসলে চোখ চবির শিক্ষার্থীদের

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সংলগ্ন বিভিন্ন পাহাড়ে চাষাবাদ করেছে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু সেই চাষাবাদ নির্বিচারে নষ্ট করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থীরা। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় দিনমজুর কৃষকেরা।

তারা বলছেন, আমরা দিনে এনে দিনে খাই। পাহাড়ে চাষাবাদ করি। কিন্তু বিভিন্ন সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীরা গিয়ে সেগুলো নিয়ে আসে। আমরা বাঁধা দিলে আমাদের মারধর পর্যন্ত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মেধাবী শিক্ষার্থীরা যদি এ ধরনের কাজ করে আমাদের খুব কষ্ট পাই। আমাদের পূর্বপুরুষেরও এখানে চাষাবাদ করেছে। কিন্তু তখনকার শিক্ষার্থীরা তো আমাদের এরকম ক্ষতি করেনি।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট পাহাড়ে কলা, সবজি, কাঠাল, আক, লেবু, করল, ফলমূল চাষ করছে স্থানীয় চাষীরা। এসব সবজি, ফলমূল কেটে নিয়ে আসছে কিছু উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থীরা। কাটতে বাঁধা দিলেই দায়ের কুপ পর্যন্ত খেতে হয়েছে স্থানীয় চাষাীদের। এনিয়ে কৃষকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ একর জায়গা ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেক জায়গা রয়েছে পাহাড়ে। বেশিরভাগ মানুষের বাগান রয়েছে এসব পাহাড়ে। তারা সেখানে চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

স্থানীয়রা জানান, যারা বাগান করেছে তাদের অধিকাংশই গরীব। তাদের নিজস্ব আসবাবপত্র ও মেয়ের বিয়ের জন্য ছোট একটি গাছ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে আনলেও বাঁধা দিচ্ছে কিছু অছাত্র। তারা গাছগুলো আটকিয়ে টাকা দাবি করছে। এসব কাজের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে সেটি নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় কৃষক রফিক উদ্দিন বলেন, আমার পূর্বপুরুষেরাও পাহাড়ে বাগান করেছেন। সে বাগানের ফল সবজি বিক্রি করে আমাদের সংসার চলেছে, এখনো চলছে। কিন্তু হঠাৎ কিছু উচ্ছৃঙ্খল অছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বিক্রি করে আমাদের সম্পদ নষ্ট করছে। ফল ফলাদি কেটে নিয়ে আসছে। বাঁধা দিলেই মারধর করছে। আমরা এর থেকে পরিত্রাণ চাই। আমাদের সন্তানেরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শোনা করে। এসব কর্মকাণ্ড যদি না থামে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের যে একটা সম্পর্ক রয়েছে মেটি নষ্ট হতে বেশিদিন সময় লাগবে না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রক্টর মো. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, এরকম মৌখিক অভিযোগ অনেকে পেয়েছি। অনেক শিক্ষার্থীকেও আমরা বলেছি। কিন্তু এখনো তারা এসব করছে। তবে, আমরা কঠোর হবো।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলিং দরকার। আমি যে একজনের ক্ষেতের শস্য নিয়ে আসতেছি। এ জ্ঞানটুকুতো তার থাকতে হবে। গরীব কৃষকদের সবজি কেন নিয়ে আসবে। এসব কাজে প্রশাসন থেকে বাঁধা আসতে হবে। বাঁধা না দিলে তারা আরও বেপরোয়া হবে।

আজকের সারাদেশ/এসএম

সর্বশেষ সংবাদ

কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকে ভাটা, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

বোয়ালখালী পৌসভা নানা অনিয়মে গিলে খেয়েছে ‘সিন্ডিকেট’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে এখনো দাপুটে আওয়ামী লীগের শাহ আমানত ও জান্নাত ট্রেডিং

আ.লীগের ইন্ধনে শহীদ তানভীরের ভাইকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগের ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন

চবিতে ‘ক্যারিয়ার ইনসাইটস ও লাইফ লেসন’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

চবির টাঙ্গাইল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

পাহাড়ে সেনাশাসন নয়, অপতৎপরতা প্রতিহত করতেই সেনাবাহিনী

চবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস উদযাপন

যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শহিদের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা