আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সিরাজউদ্দৌলা সড়কে অবস্থিত চন্দনপুরা বড় মসজিদ। অনেকে এটিকে তাজ হামিদিয়া মসজিদ বলেও ডাকেন। মসজিদটির বয়স ১৫০ বছর। ১৮৭০ সালে মাটি ও চুন-সুড়কির দেওয়াল আর টিনের ছাদ দিয়ে এ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন আবদুল হামিদ মাস্টার। তার বংশধর ব্রিটিশ সরকারের ঠিকাদার আবু সৈয়দ দোভাষ ১৯৪৬ সালে, এ মসজিদের সংস্কার কাজে হাত দেন।
মসজিদের কারিগর ও নির্মাণসামগ্রী ভারত থেকে আনা হয়। এতে ওই সময়ের প্রায় ৫ লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়।
ইসলামিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মনোরম এ মসজিদের চারদিকে যেন রঙের মেলা। লতাপাতার নকশা আর নানা কারুকাজে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সুনিপুণ হাতে। চারপাশের দেওয়ালগুলো ভেন্টিলেশন সিস্টেমের। দেওয়ালের ফাঁক দিয়ে ঢুকছে আলো। আলোর ঝরনাধারায় ভেতরটা করছে ঝলমল।
মসজিদে রয়েছে ছোট-বড় ১৫টি গম্বুজ। প্রতিটি গম্বুজে যাওয়ার জন্য আছে সিঁড়ি। গম্বুজ ও সিঁড়িতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মোগল স্থাপত্য নিদর্শনের প্রতিচ্ছবি। এ মসজিদে বড় গম্বুজটি ছিল প্রায় ১৩ মণ রুপা ও পিতলের তৈরি। বৈরী আবহাওয়ায় এসব জিনিস যেমন নষ্ট হয়েছে তেমনি সংস্কারের সময়ও অনেক কিছু হারিয়ে গেছে। পরবর্তীতে বড় গম্বুজে সবুজ, গোলাপি ও হলুদ রং করে দেওয়া হয়।
মসজিদটি একনজর দেখতে ও এখানে দুরাকাত নামাজ পড়তে প্রতিদিন দেশের নানাপ্রান্ত থেকে আগত মুসল্লিরা এখানে ভিড় করেন। রাজপথে চলাচলকারী পথিকেরও একনজর দেখে নেওয়ার সুযোগ হয় কালের সাক্ষী এ মসজিদটি।
তবে দীর্ঘদিনের পরিবেশ ও বায়ুদূষণের কারণে মসজিদটির নান্দনিকতা দিন দিন ম্লান হচ্ছে। মিনার ও গম্বুজ হারাচ্ছে ঔজ্জ্বল্য।
আজকের সারাদেশ/একে