আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাতের তিনদিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজের পর ইজতেমার মূল কার্যক্রম শুরু হয়।
সদর উপজেলার ঝিলংজার রাবার ড্যাম সংলগ্ন, বাঁকখালী নদীর মাঠে অনুষ্ঠিত ইজতেমা শনিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিনভর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লীরা আসতে থাকেন। আগত মুসল্লীরা বিশাল সামিয়ানার নিচে দলবেঁধে অবস্থান করে। মুসল্লীদের জন্য নামাজ-অজুর বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। নির্মাণ করা হয়েছে শৌচাগার ও দোকানপাট।
প্রথমদিনে বয়ান করেন ঢাকা কাকরাইল মসজিদের ইমাম মৌলানা আনাস। মুনাজাত করেন কক্সবাজার জেলা ইজতেমার শুরা জিম্মাদার মৌলানা সা’দ।
কক্সবাজার জেলা তাবলীগ জামাতের শুরা জিম্মাদার সা’দ বলেন বলেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি আর নৈকট্য লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা দলে দলে ইজতেমায় শরিক হচ্ছেন। এবার জেলার রামু, চকরিয়া, সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া টেকনাফ, উখিয়া এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে তাবলীগ জামায়াতের মুসল্লীরাও এসেছেন। শুক্রবার ইজতেমায় লাখো মুসল্লী ময়দানে সমাগম সমবেত হবেন বলেও আশা করছেন তিনি।’
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, ‘ইজতেমা উপলক্ষে কক্সবাজারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, আনসার ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, ‘ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবা ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ সার্বিক বিষয় মনিটর করতে জেলা প্রশাসনের একটি টিম কাজ করছে।’
আজকের সারাদেশ/একে