কক্সবাজার প্রতিনিধি:
গত ২ মাস ধরে ডিম পাড়তে এসে মারা যাচ্ছিল মা কাছিম। এতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে একের পর এক মা কাছিমসহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী। তার মাঝে এলো সুখবর। ৫টি মা কাছিম ৫৬৬টি ডিম ছেড়ে সাগরে ফিরেছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মেরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়া সমুদ্র সৈকতের রেজুখাল মোহনার বালিয়াড়িতে ১টি অলিভ রিডলি মা কাছিম ১০১টি ডিম পেড়ে সুস্থভাবে সমুদ্রে ফিরে যেতে সক্ষম হয়। তাছাড়া টেকনাফের শামলাপুর ২টি কাছিম থেকে ২৪০টি, মাথাভাঙ্গা ১টি কাছিম থেকে ১১৫টি, উত্তর শীলখালী ১টি কাছিম থেকে ১১০টিসহ মোট ৫টি কাছিম থেকে ৫৬৬টি ডিম সংরক্ষণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, গেলো কয়েকদিন ধরে মা কাছিমের মৃত্যুর মিছিলে আজকে সুসংবাদ পেয়েছি। আজকে মোট ৫টি কাছিম থেকে ৫৬৬টি ডিম পেড়ে সুস্থভাবে সমুদ্রে ফিরে গেছে। এটা নিঃসন্দেহে খুশির সংবাদ।
তিনি জানান, গেলো ২ মাসে সোনাদিয়া থেকে শুরু সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ৯৪টি মৃত মা কাছিম ভেসে আসে। হঠাৎ করে গেলো কয়েকদিন ধরে যার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকালও ১০টি মা কাছিম ভেসে আসে মৃত অবস্থায়। বেশিরভাগ কাছিমের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং জাল পেচানো রয়েছে। এগুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
ডিমগুলো সংগ্রহ করে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট, মেরিন লাইফ এলায়েন্স, কোডেক-ন্যাচার এন্ড লাইফ প্রজেক্টের হ্যাচারীতে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
আজকের সারাদেশ/এমএইচ