আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
বাংলাদেশের হাইজ্যাক হওয়া জাহাজটি এখনো সোমালিয়ার গোদবজিরান উপকূল থেকে প্রায় ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে। কিন্তু জিম্মি করার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও জলদস্যুদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। যার ফলে জাহাজে মজুদ খাবারের পরিমাণ এখন কতখানি আছে, সেটা নিয়েও চিন্তিত এমভি আব্দুল্লাহ’র মালিক পক্ষ।
এমন পরিস্থিতিতে খাবার ও পানির বিষয়ে জিম্মি জাহাজের মালিক কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, ‘দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলে প্রথমেই খাবারের বিষয়টি আলোচনা করা হবে।’
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি থাকা ২৩ নাবিকের খাবার ও পানি নিয়ে সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা মালিক পক্ষের। কেননা জিম্মি নাবিকদের পাশাপাশি জলদস্যুরা খাবার খাওয়ায় জাহাজে থাকা খাবার ও পানির চাহিদা বেড়েছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জাহাজটি আগের অবস্থানেই নোঙর করা আছে। অর্থাৎ সেটি সোমালিয়ার গ্যারাকাদ থেকে প্রায় ৪০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে এবং গোদবজিরান উপকূল থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে। জলদস্যুদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করেনি।’
গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বেলা ১টায় প্রথমে জাহাজটিকে সোমালিয়ার গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করেছিল দস্যুরা। পরে সন্ধ্যার দিকে উপকূলের আরও কাছে নিয়ে মাত্র ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা হয়। তবে পরবর্তীতে শুক্রবার বিকেল তিনটার দিকে জাহাজটিকে বর্তমানে অবস্থানে সরিয়ে নিয়ে আসে দস্যুরা।
আজকের সারাদেশ/এমএইচ