রাত ৮:১৩, শনিবার, ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও জিম্মি জাহাজ সরাল দস্যুরা, খাবার বাঁচাতে রাতে খাচ্ছেন না নাবিকরা

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অব্যাহত চাপের মুখে পড়ে সোমালিয়ান জলদস্যুরা বাংলাদেশি জিম্মি জাহাজটিকে নিজেদের উপকূলের আরও কাছে সরিয়ে নিয়েছে। এখন এমভি আবদুল্লাহ নামের এই জাহাজটি তীরের মাত্র দেড় মাইল দূরে নোঙর করা আছে। তবে দস্যুরা হুমকি দিয়ে রেখেছে, আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী ‘বাড়াবাড়ি’ করলে জাহাজটিকে তীরে তুলে দেবে তারা।

জিম্মি নাবিকদের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছেন মার্চেন্ট নেভির ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান। জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পড়ার থেকে নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাঁদের পরিস্থিতি সবাইকে জানিয়ে আসছেন এই ক্যাপ্টেন।

ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান জিম্মি নাবিকদের বরাতে আরও জানিয়েছেন, কদিন জাহাজের খাবার খাওয়ার পর জলদস্যুদের অধিকাংশই আবার নিজেদের জন্য স্থানীয় খাবার আনা-নেওয়া শুরু করেছে। এতে জাহাজের খাবার হয়তো কদিন বেশী যেতে পারে। আর জাহাজের নাবিকরাও খাবার সাশ্রয়ের জন্য রাতের খাবার বাদ দিয়েছেন। এখন মূলত ইফতার আর সেহেরি তৈরি হচ্ছে সবার জন্য। এছাড়া সচরাচর জাহাজে যেভাবে একাধিক তরকারি তৈরি হয়, সেটাও পরিহার করা হচ্ছে।

জাহাজের কার্গো (কয়লা) হোল্ডের বর্তমান পরিবেশ নিরাপদ আছে বলেও জানিয়েছেন নাবিকেরা। তবে তাঁরা বেশ কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। বলেছেন, ‘নৌবাহিনীর চাপের ফলে সব নাবিককে এখন দিনরাত ২৪ ঘন্টাই ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝেমধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকি টকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে। পানি রেশনিং এবং সবসময় ব্রিজে অবস্থান করায় সবার পক্ষে নিয়মিত গোসল করা আর কাপড় ধোয়াও সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কারো কারো ত্বকে চর্মরোগ দেখা দিয়েছ। আর ব্রিজে শৌচাগার মাত্র একটি। এই এক শৌচাগার ২৩ জন নাবিক ছাড়াও ২৫-৩০ জন জলদস্যু ব্যবহার করছে। তাদের ওজনের কারণে কমোডের সিট ইতিমধ্যে ভেঙে গেছে। তাছাড়া তারা খুব অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হওয়ায় বাথরুমও পরিষ্কার করে না। যার ফলে এই বাথরুম নিয়মিত পরিষ্কার করা আর ব্যবহার করা খুবই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’

মার্চেন্ট নেভির ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান নাবিকদের বরাতে বলেছেন, ‘গত দুইদিন আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী এমভি আবদুল্লাহকে বেশ চাপের মুখে রেখেছে। যুদ্ধজাহাজগুলো এমভি আবদুল্লাহর দেড় মাইলের মধ্যে চলে এলে জলদস্যুরা জাহাজের নোঙর তুলে আরও ভেরে চলে গিয়ে তীরের মাত্র দেড় মাইল দূরে আবার নোঙর করেছে। দস্যুরা হুমকি দিয়েছে বাড়াবাড়ি করলে জাহাজ তীরে তুলে দিবে। তবে নৌবাহিনী এখনো বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। এই চাপ হয়তো জলদস্যুদের দ্রুত মুক্তিপণ দাবীতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।’

নাবিকেরা সবাই সুস্থ আছেন। তবে এখন পর্যন্ত দস্যুদের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ বা দাবির বিষয়ে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। তবে জাহাজের মালিকপক্ষ এবং সরকার নাবিকদের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, সেটিতে সন্তুষ্ট নাবিকেরা।

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। পরে গত বৃহস্পতিবার জাহাজটিকে নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায় দস্যুরা। এরপর অন্তত চারবার জাহাজটিকে সরিয়েছে তারা।

আজকের সারাদেশ/এমএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

বোয়ালখালী পৌসভা নানা অনিয়মে গিলে খেয়েছে ‘সিন্ডিকেট’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে এখনো দাপুটে আওয়ামী লীগের শাহ আমানত ও জান্নাত ট্রেডিং

আ.লীগের ইন্ধনে শহীদ তানভীরের ভাইকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগের ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন

চবিতে ‘ক্যারিয়ার ইনসাইটস ও লাইফ লেসন’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

চবির টাঙ্গাইল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

পাহাড়ে সেনাশাসন নয়, অপতৎপরতা প্রতিহত করতেই সেনাবাহিনী

চবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস উদযাপন

যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শহিদের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা

ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান