আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
চট্টগ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে গাছ ভেঙে পড়ে যানচলাচল ব্যাহত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় বাড়িতেও গাছ ভেঙে পড়েছে। সড়কে পানি জমে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
সোমবার (৬ মে) বিকেলে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এতে নগরের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নগরের আগ্রাবাদ, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, চান্দগাঁও ও বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমেছে। কোথাও হাঁটু পরিমাণ পানি জমেছে।
সকালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোদ উঠতে শুরু করে। তবে দুপুর থেকে আবার আকাশে মেঘ জমতে থাকে। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হয় বাতাস। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে বাতাসের গতিবেগ। সঙ্গে বিদ্যুৎ চমকানো ও বজ্রপাত। এ সময় সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আসে। বাতাসের তীব্রতা বেড়ে সড়কে একেবারে কমে যায় যানচলাচল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে নগরের বিভিন্ন কলোনির কাঁচাঘরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। উড়ে যায় বিভিন্ন বাড়ির চাল। এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার আমজুরহাট, কমলমুন্সির হাট, বাইপাস ও চন্দনাইশের কাঞ্চননগর এলাকায় সড়কের ওপর গাছ পড়ে। এতে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলার কয়েকটি স্থানে গাছ পড়ে যানচলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। নগরের জাকির হোসেন রোডের এমইএস কলেজ এলাকায় সড়কের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। পরে স্থানীয়রা এবং পথচারীরা মিলে সেটি সরানোর চেষ্টা করেন।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চগ্যা বলেন, সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ মিলিমিটার। আমাদের দপ্তর থেকে ৩ ঘণ্টা পরপর আপডেট দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে সন্ধ্যা ৬টার পর পুনরায় আপডেট জানানো হবে।