আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
ভারতে হু হু করে বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। কমেছে হিন্দু নাগরিক। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা মণ্ডলীর একটি সমীক্ষা রিপোর্টে দেশ তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। জনসংখ্যার এই রিপোর্ট লোকসভা ভোটের আবহে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
সলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা মণ্ডলীর রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই হইচই পড়ে গিয়েছে দেশে। একদিন এ দেশে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হবে। মুসলিমরাই হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ।’ এই ধরণের শোরগোল তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাশাপাশি, বিজিপি নেতাদের অভিযোগ, কংগ্রেসের মুসলিম তোষণের কারণেই দেশে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, ‘কংগ্রেস ১৯৭১ সালের পর ভোটব্যাঙ্কের জন্য বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের, রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিহার সহ গোটা দেশে ধর্মশালা খুলে দিয়েছে।’
এই মুহূর্তে দেশে মুসলিম জনসংখ্যা কত:
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় প্রায় ১০ কোটি মুসলিম বসবাস করতেন ভারতে। দেশভাগের পর প্রায় ৬.৫ কোটি মুসলিম পাকিস্তান চলে গিয়েছিলেন। ৩.৫ কোটি মুসলিম ভারতেই থেকে যান। একটি অনুমান মোতাবেক, ২০২৪ সালে ভারতে মোট ১৪৭ কোটি নাগরিকের মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২০ কোটি।
হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যা:
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৮০.৫ শতাংশ। যা ২০১১ সালে কমে দাঁড়ায় ৭৯.৮ শতাংশে। সেই ১০ বছরে ০.৭ শতাংশ কমে হিন্দু জনসংখ্যা। পাশাপাশি মুসলিম জনসংখ্যা ২০০১ সালে ছিল ১৩.৪ শতাংশ। যা ২০১১ সালে ০.৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.২ শতাংশ। বাস্তবে আটের দশকের পর মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্মহার লাগাতার কমেছে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সালের মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে ২০ শতাংশ। যা ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৩.২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৬.৮ শতাংশে। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে মুসলিমদের জনসংখ্যা ৩.২ শতাংশ কমে ১৬.৮ শতাংশই রয়ে যায়। আবার ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সালের মধ্যে মুসলিমদের জনসংখ্যা ২৯.৩ শতাংশ ছিল। যা ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৪.৭ শতাংশ কমে ২৪.৬ শতাংশতে দাঁড়ায়। অর্থাৎ গত দুই দশকে মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হিন্দুদের তুলনায় বেশি কমেছে।
আজকের সারাদেশ/টিএইচ/এমএইচ