আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কয়েকজন ইসরায়েলি ইহুদি ধর্মীয় নেতা। তার এই মৃত্যু ‘ঈশ্বরের পক্ষ থেকে শাস্তি’ বলেও মন্তব্য করেন তারা। ব্যক্তিগত বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় তারা রাইসির কঠোর সমালোচনা করেন। রাইসিকে ‘তেহরানের জল্লাদ’ বলেও মন্তব্য করেছেন এক ইহুদি নেতা।
তাদের এমন মন্তব্য রাইসির মৃত্যুর রহস্য আরও বাড়ছে। কারা জড়িত রাইসির মৃত্যুতে! এ প্রশ্ন এখন জনমনে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসির মৃত্যুর পর ইসরায়েল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও ইহুদি ধর্মীয় নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সমালোচনামূলক পোস্ট করেছেন। সেসব পোস্টে রাইসির প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন তারা।
রাইসিকে ‘তেহরানের জল্লাদ’ উল্লেখ করে রাবি মেইর আবুতবুল এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, এই হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা ঐশ্বরিক শাস্তি। খুব নোংরা ভাষায় আবুতবুল লেখেন, সে ইহুদিদের ঝুলাতে চেয়েছিল, তাই ঈশ্বর তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা ইসরায়েল বিরোধী ক্রুকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করে বাতাসে বিক্ষিপ্ত করে দিয়েছেন। ইসরায়েল ও ইহুদিদের প্রতি রাইসির মনোভাবের কঠোর নিন্দা জানান আবুতবুল।
ইরানের সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাবি নির বেন আর্টজিও এক ফেসবুক পোস্টে এই রাবি লেখেন, নিজের প্রতি জুলুম করো না, ঈশ্বর বলেছেন, যথেষ্ট হয়েছে। আপনি ঈশ্বরকে রাগান্তিত করেছেন। রাইসি ও তার প্রশাসনের পদক্ষেপের দিকে ইঙ্গিত করে এমন মন্তব্য করেন বেন আর্টজি। এ ঘটনাকে ঈশ্বরের অসন্তোষ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
ইহুদি আরেক ধর্মীয় নেতা রাবি ইৎজ-চাক বাৎজরি রাইসিকে ফেরাউনের দোসর হামানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। রাইসির মৃত্যুর খবর আসার আগে বাৎজরি ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে দুষ্টু হামান। নিজের পোস্টে বাইবেলের একটি লাইনও জুড়ে দেন এই রাবি।
উল্লেখ্য, ঘন কুয়াশার কারণে রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। ইরানের উত্তরাঞ্চলে মর্মান্তিক ওই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসিসহ আরোহী ৯ জনের কেউ প্রাণে বাঁচেননি। সফরসঙ্গীসহ রাইসি নিহত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্বের বিভিন্ন নেতারা শোক প্রকাশ করছেন। তার বিপরীতের ইহুদি ধর্মীয় নেতারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সিনেটর নেতাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।