শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মদেশনা, সংঘদান, ধর্মসভা ও সমবেত প্রার্থনাসহ নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ লাভের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা ও বুদ্ধ বর্ষ। জগতের সব প্রাণীর সুখ-শান্তি কামনা, বিশ্বের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করা ও মানবের দুঃখ মুক্তি কামনায় প্রার্থনা করছেন বৌদ্ধরা।
বুধবার (২২ মে) নগরের ডিসি হিলের নন্দনকানন বৌদ্ধবিহার, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, লোহাগাড়া, ফটিকছড়ি, পটিয়া, বাঁশখালীসহ বিভিন্ন উপজেলার বিহারগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বুদ্ধ পূর্ণিমার মৈত্রীময় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অনেকে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বুধবার বিকেলে বর্ণাঢ্য শান্তি শোভাযাত্রা বের করে সম্মিলিত বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদ ও চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের (সাংঘিক) ভিক্ষু সংঘ ও দায়ক দায়িকারা।
নন্দনকানন বৌদ্ধবিহারের সামনে থেকে এ শান্তি শোভাযাত্রা শুরু হয়ে জামালখানের চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, আন্দকিল্লা হয়ে আবারো নন্দনকানন বৌদ্ধবিহারের সামনে আসে।
শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করেন ওমর গনি এমইএস কলেজের সাবেক জিএস, নগর আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। তিনি বাংলাদেশে বসবাসরত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করেন।
একই সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় উপিস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.জিনবোধি মহাথের, এস লোকজিৎ থের, প্রজ্ঞাপল ভিক্ষু, ড. দিপঙ্কর থের, অগ্রলঙ্কার ভিক্ষু, ড. অর্থদর্শী বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট সুজন বড়ুয়া, দীর্ঘতম বড়ুয়া, বিজয় বড়ুয়া, স্থপতি বিজয় তালুকদার, রাজু চৌধুরী, মনোপ্রিয় বড়ুয়া, সরোজ বড়ুয়া, পূর্ণিমা বড়ুয়া, শেলী বড়ুয়াসহ বিহারের উপাসকরা। র্যালির শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ড. জিনবোধি মহাথের ও এস লোকজিত থের।
র্যালিকে বর্ণাঢ্য করতে বৌদ্ধ ভিক্ষু, আদিবাসী বৌদ্ধ সম্প্রদায়, চট্টগ্রামে বসবাসরত শ্রীলঙ্কান শিশু কিশোর, যুবক-যুবতীসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ সংগঠনের উপাসনাকারীরা ধর্মীয় গান, বৌদ্ধ কীর্তন, ধর্মীয় পতাকা, ধর্মীয় শান্তির বাণী সম্বলিত পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও বুদ্ধের ছবি নিয়ে র্যালিতে অংশ নেন।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ ব্লাড ব্যাংক, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কল্যাণ ফেডারেশন, মৈত্রী জাগরণ একতা সংঘ, বিহার সুরক্ষা কমিটি, শিবলি সংসদ, বাংলাদেশ কন্থক বু্ড্ডিস্ট ইউনিটি, সম্যক, ধর্ম চক্র, পার্বত্য বৌদ্ধ সংঘ ও বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ নিজ নিজ ব্যানারে র্যালিতে অংশ নেয়।