আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ। দেশীয় পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিলে এ বাজারে রাজত্ব করে ভারতীয় পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো থাকায় এবার কোরবানির বাজারে খাতুনগঞ্জে রাজত্ব করছে দেশি পেঁয়াজ। এদিকে খোলা রয়েছে ভারতের পেঁয়াজ আমদানির পথও।
জানা গেছে, কোরবানির বাকি এক মাসের চেয়ে কম। এসময়ে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বাজার থাকতো রমরমা। গত বছরও এমন দিনে প্রচুর বেচাকেনা ছিল আড়তে। কিন্তু কোরবানির দন ঘনিয়ে আসলেও বেচাকেনা বাড়েনি খাতুনগঞ্জে।
এ বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ভারতের পেঁয়াজ ছোট ৬২ থেকে বড় ৭০ টাকা। পাবনার পেঁয়াজ রয়েছে খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে। সে পেঁয়াজের কেজি ৬৬ টাকা। যা গতকাল ছিল ৬৫ টাকা। ভারতের বড় পেঁয়াজের দাম ৭০ টাকা। কিন্তু দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মওজুদ থাকায় কদর নেই ভারতীয় পেঁয়াজের। খুচরায় মুদির দোকানে দেশি পেঁয়াজ ৬৫-৭০, রসুন ২০০, আদা ২২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। রিকশাভ্যানে তুলনামূলক দাম কিছুটা কম।
এখনো বাজার জমে না উঠার কারণ জানালেন আড়তদারেরা। যারমধ্যে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে, ডলারের দাম বাড়ায় বিভিন্ন খাতে প্রভাব পড়েছে। তা ছাড়া চৌধুরী হাট, শান্তিরহাট, দোহাজারী, পাহাড়তলী, রামু, কক্সবাজার, পতেঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজের আড়ত গড়ে উঠছে।
পেঁয়াজে সরকারের বিশেষ নজর আছে। ভারতের পেঁয়াজ আমদানির পথ খোলা আছে। দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়লে আমদানি বেড়ে যাবে। ফলে বাজারে অযৌক্তিক অস্থিরতা হওয়ার সুযোগ নেই।
কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, রাজশাহীর পেঁয়াজ আছে আড়তে। সুবিধা হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ সহজে পচে না।
আব্দুর রহমান নামে এক আড়ৎদার জানান, আড়তদার
কেজিতে ৭০ পয়সা কমিশন পায় বেপারির কাছ থেকে। ৩০ পয়সা ক্রেতা দেবে। লেবার খরচ ১২- ১৫ টাকা।
দেশি পেঁয়াজের দাম কম ও মান ভালো হওয়ায় চাহিদা বেশি। দেশি পেঁয়াজের বস্তায় পচা, গলা কম। ৬৪-৬৫ টাকা কেজি। স্পেশাল বড় পেঁয়াজ ৬৮ টাকা। চীনা রসুন ১৮৪, দেশি রসুন ১৭৫ টাকা। চীনা আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২০৫ টাকা।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা থেকে পাইকারি পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুল আলীম বলেন, তার দোকানে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। এ উপজেলায় সবচেয়ে বড় পাইকারির দোকান তার। যার কারণে সাপ্তাহ তিন থেকে চারবার এক ট্রাক করে পেঁয়াজ নিয়ে যান তিনি। দুই দিনে দুই টাকা বেড়েছে। এবার দেশি পেঁয়াজ চলছে বেশি। আমাদের প্রতি কেজিতে ২ টাকা খরচ পড়ে।