আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
বড় গরুটি নিজস্ব খামারে লালন-পালন করা হয়েছে। গরুটি শান্ত প্রকৃতির। এ জন্য তার নাম ‘শান্ত’ দিয়েছি। আর ছোট দেশি গরুটি দৌড়ঝাপ বেশি করে তাই তার নাম ‘অশান্ত’। বড় গরু শান্তর সঙ্গে অশান্তকে ফ্রি দেওয়া হচ্ছে।
গত কোরবানির ঈদেও একটি গরু ছিল, তার নামও শান্ত ছিল। ওই শান্তর সঙ্গে একটি লাল ছাগল ফ্রিতে দেওয়া হয়েছিল। এবার গরুর সঙ্গে গরু ফ্রি দেওয়া হচ্ছে।
কালো আর সাদা রঙের অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান প্রজাতির গরু শান্তর ওজন ২৪ মণ। পাশেই রয়েছে দেশি সাদা রঙের অশান্ত নামের আরেকটি গরু। যার ওজন প্রায় ৩ মণ হবে। শান্তকে কিনলে গরুর মালিক অশান্তকে ফ্রিতে দিচ্ছে। দাম চাইছে ৮ লাখ টাকা।
মানুষ দরদামও করছে, তবে প্রত্যাশিত মূল্য উঠলেই শান্তর সঙ্গে অশান্তকে ফ্রিতে বিক্রি করবেন গরু দুটির মালিক। খুলনার জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাটে সকলের নজর কাড়ছে শান্ত আর অশান্ত।
গরু দুটির মালিক বাগেরহাট যাত্রাপুর গ্রামের মুরাদ খান জানান, শুক্রবার বাগেরহাট থেকে গরু দুটিকে জোড়াগেট হাটে এনেছেন তারা। অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান প্রজাতির ২৪ মণের গরুটির নাম দিয়েছেন শান্ত। আর দেশি সাদা রঙের ২ মণের গরুটির নাম অশান্ত। গরু দুটির দাম হাঁকিয়েছেন ৮ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, হাটের বড় ও সুন্দর গরু আমাদের। গরু দুটি দেখতে অসংখ্য মানুষ আসছে। গরুটির দামও তুলছে। আমরা ৮ লাখ টাকা দাম তুলেছি। তবে ক্রেতারা সাড়ে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত বলেছে। তবে ৭ লাখ টাকা উঠলে আমরা বিক্রি করে দেব।
শান্ত আর অশান্তকে ঘিরে মানুষের কৌতুলের শেষ নেই। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ভিড় করছে এই দুটি গরুকে ঘিরে।
জোড়াগেট কোরবানির পশুর হাটে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হাটে এসেছি। ঘুরে ঘুরে দেখছি। এই দুটি গরু দেখতে সুন্দর। পছন্দও হয়েছে। এখানে একটি কিনলে আরেকটি ফ্রিতে দেবে। আমাদের আরও কয়েকজন এসেছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে একসঙ্গে নেওয়া যায় কি না দেখছি।
এই হাটে শুধু শান্তই নয়, উঠেছে আরও অনেক বড় বড় গরু। রয়েছে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুও। শেষ মুহূর্তে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
কেসিসির বাজার সুপার আব্দুল মাজেদ মোল্লা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী হাট জোড়াগেট পশুর হাট। গত ১০ জুন হাটটি শুরু হয়েছে, চলবে ঈদের দিন সকাল বেলা পর্যন্ত। হাটের পরিবেশ খুবই ভালো। নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। প্রচুর পরিমাণে কোরবানির পশু এসেছে এই হাটে। আশপাশের হাট শেষে গরুগুলো এখানে আনছে।
তিনি আরও বলেন, সড়কপথের পাশাপাশি নৌপথেও এখানে পশু আনার সুবিধা রয়েছে। এবারের হাটে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা, জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন, কন্ট্রোল রুম, চিকিৎসা সেবার জন্য মেডিকেল টিমসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।