আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে দুই নেতা ও তাঁদের অনুসারীদের মধ্যে বৈরিতা বহুদিনের। রাজনীতির মাঠে যতই ‘প্রতিপক্ষ’ হোক বিপদের মুহূর্তে যে একজন আরেকজনের পাশে দাঁড়িয়ে যান সেটিরই নজির দেখা গেল ঈদুল আজহার নামাজে।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার (১৭ জুন) সকাল আটটার দিকে। জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে চট্টগ্রামের ঈদের প্রধান জামাত শেষে
মোনাজাতের আগে দাঁড়িয়ে ‘
ইয়া নবী সালাম আলাইকা, ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা’ পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সবাই। তখন সবার সঙ্গে বসা থেকে ওঠে দাঁড়ান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও। তার ডান পাশে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান আলম শেঠ ও বাম পাশে ছিলেন জাতীয় পার্টির আরেক নেতা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। মাহমুদুল ইসলামের পাশে দাঁড়ানো ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
বসা থেকে ওঠে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই আ জ ম নাছির আচমকা নিচে পড়ে যান। এ সময় তাঁকে তুলে ধরতে এগিয়ে আসেন শিক্ষামন্ত্রী, সোলায়মান আলম শেঠসহ অন্যান্যরা।
পরে সবাই আ জ ম নাছিরকে চেয়ারে বসান। এরপর অনেকটা সুস্থতা বোধ করেন তিনি। পরে মোনাজাত শেষে আন্দরকিল্লার বাসায় ফেরেন।
আ জ ম নাছিরের ব্যক্তিগত সহকারী রায়হান ইউসুফ জানিয়েছেন সাবেক মেয়র সুস্থ আছেন। তিনি বলেন, ‘নামাজ শেষে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকায় পায়ে রক্ত চলাচল কিছুটা কমে গিয়েছিল, এ কারণে ওঠে দাঁড়াতেই পা ঝিম ঝিম করায় তিনি পড়ে যান। এখন তিনি পরিপূর্ণ সুস্থ আছেন। বাসায় রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কাজ সারছেন।’
নামাজের আগে আ জ ম নাছিরকে সুস্থ দেখা গেছে। এ সময় তাঁকে শিক্ষামন্ত্রী এবং সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন। পাশাপাশি বিএনপি নেতা ও আরেক সাবেক সিটি মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল কথা বলছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ পড়ে যাওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীসহ সবার মধ্যে উদ্বেগ কাজ করছিল। নাছির উদ্দীন সুস্থ থাকার খবরে তাঁদের সেই উৎকণ্ঠা দূর হলো।