আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে পদ্মা সেতু। দেশের অর্থ বিভাগ ঋণ হয়েছে এই সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে। আস্তে আস্তে সেই ঋণ পরিশোধ করছে সেতু কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে ঋণের সপ্তম ও অষ্টম কিস্তি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দুই কিস্তির ৩১৪ কোটি ৬৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬৩ টাকার চালান তুলে দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতু। এতে ব্যয় হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। নির্মাণব্যয়ের প্রায় পুরো অর্থ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
২০২২ সালের ২৬ জুলাই অর্থ বিভাগের সঙ্গে সংশোধিত ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ চুক্তি অনুযায়ী ১ শতাংশ সুদসহ ৩৫ বছরে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঋণের টাকা ফেরত দেবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ পরিশোধের শিডিউল অনুযায়ী প্রতি অর্থবছরে চারটি কিস্তি করে মোট ১৪০টি কিস্তিতে সুদ-আসল পরিশোধ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৫০ টাকা, ১৯ জুন তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তি বাবদ ৩১৬ কোটি ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩ টাকা এবং ১৮ ডিসেম্বর পঞ্চম ও ষষ্ঠ কিস্তি বাবদ ৩১৫ কোটি ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪২ টাকা পরিশোধ করা হয়। সপ্তম ও অষ্টম কিস্তিসহ পরিশোধিত মোট টাকার পরিমাণ ১ হাজার ২৬২ কোটি ৬৬ লাখ ৬ হাজার ৫৪৮ টাকা।
এছাড়া, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ২২৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
চুক্তি অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেতুটির ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে। ঋণ পরিশোধের জন্য ২০৫৬-৫৭ অর্থবছর পর্যন্ত সময় পাবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে ২০২৪ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত সংগৃহীত টোলের পরিমাণ ১ হাজার ৬৫৩ কোটি ৭১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০ টাকা।