আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
বলা হয়ে থাকে, আর্জেন্টাইন কোচরা ট্যাকটিক্যালি ও দল ব্যবস্থাপনা—দুই দিক ভালো পারদর্শী। ফুটবলীয় সাফল্য ও দক্ষতায় আর্জেন্টিনার সঙ্গে সব সময়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলে প্রতিবেশী ব্রাজিলের। পাঁচবার বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিল আন্তর্জাতিক ফুটবলে অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড় উপহার দিলেও কোচ সরবরাহের দিক থেকে বেশ পিছিয়ে। বিপরীতে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সেরা কোচদের অনেকেই আর্জেন্টিনা থেকে উঠে আসা।
লুইস সিজার মেনোত্তির (’৭৮–এর বিশ্বকাপজয়ী কোচ) উত্তরসূরিরা উত্তরাধিকার বহন করে চলেছেন নিজেদের বৈচিত্র্যের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতায়ও। ২০২৪ সালেই যেমন ব্রাজিলের শীর্ষ ক্লাবগুলোতে কোচিং করাচ্ছেন আর্জেন্টিনারই গ্যাব্রিয়েল মিলিতো (অ্যাটলেটিকো মিনেইরো), র্যামন ডিয়াজ (ভাস্কো দা গামা), এদুয়ার্দো কোদেত (ইন্টারন্যাশিওনাল), নিকোলাস লারকামন (ক্রুজেইরো) ও হুয়ান পাবলো ভোবোদারা (ফোর্তালেজা)। অথচ আর্জেন্টিনার লিগে ব্রাজিলিয়ান কোচ দেখাই যায় না। যেমন বুয়েনস এইরেসের ক্লাব কোবা জুনিয়র্স ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ব্রাজিল থেকে কোচ নিয়েছে মাত্র দুবার।
আর্জেন্টাইন কোচদের চাহিদা বাড়ার অন্যতম কারণ স্কালোনিও। ২০১৮ সালে জাতীয় দল চালানোর অভিজ্ঞতা ছাড়াই লিওনেল মেসিদের দল দেখভালের দায়িত্ব ছিলেন তিনি। সেই অনভিজ্ঞ স্কালোনির অধীনই সর্বশেষ তিন বছরের মধ্যে বৈশ্বিক, মহাদেশীয়সহ তিনটি ট্রফি জিতেছে আর্জেন্টিনা।
যে দেশের কোচ অনভিজ্ঞ হলেও সফলতা এনে দিতে পারেন, বহন করেন সফল কোচদের উত্তরাধিকার, মানিয়ে নিতে পারেন বৈচিত্র্যের সঙ্গে—এমন নানামুখী গুণের কোচের দ্বারস্থ অন্যরা হবে না কেন!