আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারায় রংপুরে প্রতিবছর আমের ২৫ থেকে ২৭ শতাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যার বাজারমূল্য ৪৫ কোটি টাকার বেশি।
এছাড়া কাঁঠাল ৪০ থেকে ৪৩ শতাংশ, কলা ২০ থেকে ২৪ শতাংশ, লিচু ২০ থেকে ২৪ শতাংশ, আনারস ৪০ থেকে ৪৩ শতাংশ ও পেঁপে ২৫ থেকে ৩৯ শতাংশ সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয় প্রতিবছর। দীর্ঘদিন থেকে রংপুরে একটি ফল সংরক্ষণাগার স্থাপনের দাবি উঠলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি সরকার। এতে চাষি ও ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ছেন। তাই দ্রুত রংপুর ও মিঠাপুকুরে বিশেষায়িত হিমাগার স্থাপনের দাবি করেছেন তারা।
তবে সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ জানান, মিঠাপুকুরে আম ও সবজি সংরক্ষণের জন্য বিশেষায়িত হিমাগার করা হবে। তাই আশার আলো দেখছেন স্থানীয়রা। সেইসঙ্গে ন্যায্যমূল্যও পাবেন বলে তারা আশাবাদী।
স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, রংপুরে সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে এবং বিভিন্নভাবে অপচয়ের কারণে প্রতিবছর আমসহ বিভিন্ন ধরনের ফল নষ্ট হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, মৌসুমের সময় দেশের অনেক ফল ও সবজি সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়। অধিক উৎপাদনের কারণে কৃষকরা অনেক সময় ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হন। এছাড়া কৃষকরা সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
চলতি বছরে রংপুর জেলায় আমের উৎপাদন আশা করা হচ্ছে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। আড়াইশ কোটি টাকার বেশি আম বিক্রির আশা করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।