আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে বয়স জালিয়াতি করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উচ্চমান সহকারী মো. ইউছুফের বিরুদ্ধে। ১৯৯৭ সালে এমএলএসএস পদে চাকরির যোগদানের জন্মবর্ষ দেখানো হয় ১৯৭৯, আর পদোন্নতি সময় দেখানো হয়েছে ১৯৮০ সাল। তবে সব অভিযোগ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র বলে দাবি মোহাম্মদ ইউছুফের।
সার্ভিস বুকের তথ্য অনুয়ায়ী ১৯৯৭ সালে মোহাম্মদ ইউছুফ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিম্ম মাধ্যমিক কর্মচারি সদস্য (এমএলএসএস) পদে চাকরিতে যোগ দেন। ওই সময় সার্ভিস বুকে তাঁর জন্ম তারিখ ছিল ২০-০২-১৯৭৯। ২৭ বছর আগেই সেই সময়ের সার্ভিস বুকে স্বাক্ষর রয়েছে বর্তমান কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তারের।
২০২৩ সালে উচ্চমান সহকারী হিসেবে পদোন্নতি পান মোহাম্মদ ইউছুফ। ওই পদোন্নতির সময় বয়স দেখানো হয়েছে ২০-০২-১৯৮০। ১ বছর বয়স বাড়িয়ে পদোন্নতি পাওয়া অফিসিয়ালপত্রে স্বাক্ষর করেছেন বর্তমান কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২৭ বছর আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষের বা প্রশাসনিক কোনো দায়িত্বে ছিলেন না বর্তমান অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার। চমেকের একাধিক স্টাফদের প্রশ্ন, তাহলে ২৭ বছর আগের এমএলএসএস পদে নিয়োগের সময় সার্ভিস বুকে কিভাবে স্বাক্ষর করলেন এবং তৎকালীন অধ্যক্ষ কেন ইউছুফের পত্রে স্বাক্ষর করেননি তা নিয়ে ধৃম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক সূত্রের দাবি, ইউছুফের দুটি এনআইডি কার্ড রয়েছে। দুটিতে বয়স দু’রকম। ওই দুটি এনআইডি তিনি চাকরির নিয়োগে সুবিধা অনুয়ায়ী ব্যবহার করেছেন।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ ইউছুফ বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ২৭ বছর চাকরি করে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র তিন হাজার টাকা।
একই বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার বলেন,নিয়োগ দেওয়ার সময় যারা ছিল তারা যাচাই-বাচাই করে দিয়েছেন। এই ছাড়া তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছেুক একজন কর্মকর্তা বলেন, অধ্যক্ষ যোগসাজশে অনিয়ম দুর্নীতিতে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মো. ইউছুফ।