আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
গাজায় ৯ মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলা চালাতে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোদ ইসরায়েল যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার এক সদস্য গাজায় অভিযানে ইসরায়েলের ফলপ্রসূতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়া আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে তেল আবিব।
গাজায় অভিযান নিয়ে ইসরায়েল ঘরে বাইরে এখন আলোচনা চলছে। বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের যোদ্ধাদের নিঃশেষ করার দাবি করলেও আবার সেসব এলাকায় ফিরে আসতে হচ্ছে। এমনকি এ যুদ্ধ চালাতে ব্যাপক দাম দিতে হচ্ছে তাদের। বিভিন্ন পদধারী অনেক সেনাও হারাতে হয়েছে দেশটিকে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গত নয় মাসে হামাসসহ অন্যান্য প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় অন্তত ৬৮০ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। সোমবার (০৮ জুলাই) লেবাননভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আইডিএফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, সর্বশেষ গাজায় ইসরায়েলের এক কমান্ডার নিহত হয়েছেন। তিনি ইসরায়েলের কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পসের ৬০১তম ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। গাজায় যুদ্ধকালে নিহত ফিলিস্তিনিদের হামলায় তিনি নিহত হন। তাকে নিয়ে নিহত সেনার সংখ্যা ৬৮০ জনে দাঁড়িয়েছে।
ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে লেবাননের যোদ্ধাদের হামলা
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবীহিন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। দেশটির এ হামলার জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এ যুদ্ধ শুরু হয়। ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নেয় যুদ্ধ।এরপর থেকে গাজার ওপর বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল,স্কুল, শরণার্থী শিবির , মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনাও।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার ২০ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দেশটির হামলার কারণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, ইসরায়েলে হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি আর ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এছাড়া ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে দেশটি।