আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন
কোপায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে খেলতে নামা আর্জেন্টিনা আসর শুরু করেছিল কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। পথ ঘুরে অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে তাদের সামনে ছিল আবার এই দলটিই। গ্রুপ পর্বের মত এই দফায়ও ধরা দেয় ২-০ গোলের জয়।
এই ম্যাচে চলতি আসরে প্রথমবার গোলের দেখা পেয়েছেন এই আর্জেন্টিনা দলের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনলে মেসি। তার গোল ছাড়াই দলটির সেমিতে আসাটাই বলে দেয়, জেতার জন্য দলের প্রতিটি সদস্য কতোটা নিবেদন নিয়ে খেলেন এবং শেষ পর্যন্ত লড়ে যান।
কোপা জয় দিয়ে শুরু হয়েছিল আর্জেন্টিনার দুর্দান্ত এক পথচলার, যা চলছে এখনও। আরেকটি কোপা আমেরিকা জয়ের পথে আর্জেন্টিনা। এরমধ্যে বিশ্বকাপও জিতেছে দলটি। দুটি মেজর শিরোপা জেতা এবং টানা সাফল্যের পরও প্রতিটি ম্যাচেই যেভাবে জয়ের তাড়না নিয়ে খেলছে দলটি, তা অবিশ্বাস্যই বটে।
আর তাই কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেই বসলেন, এই দলটা হতাশ হওয়ার সুযোগই দেয় না।
কানাডা ম্যাচের পর শিষ্যদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্কালোনি বলেন, এটা গর্ব করার মতোই ব্যাপার। সব খেলোয়াড়দের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমরা প্রশংসিত হয়েছি, আমরা সফল হয়েছি। আর যেসব ত্যাগ স্বীকার করে আমরা এই জায়গায় এসেছি, সেটার জন্য আনন্দটা দ্বিগুন হয়েছে। আমাদের মানদণ্ডটা খুব উঁচুতে। সবাই ভেবেছিল আমাদের জন্য গোলাপ বিছিয়ে রাখা হবে। তবে ব্যাপারটা মোটেও সেরকম নয়। কানাডা খুব কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে আজ সেটাই প্রমাণ করেছে।
আগামী রবিবারের ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ হবে উরুগুয়ে বা কলম্বিয়া। দল যেভাবে খেলছে, তাতে আরেকটি ফাইনালের মঞ্চেও শিরোপা উঁচিয়ে ধরার ব্যাপারে আশাবাদী স্কালোনি। “আমাদের হাতে কিছু দিন বিশ্রাম আছে। রবিবার আমরা খুব ভালো খেলার চেষ্টা করব। আমি মনে করি দল প্রতিটি ম্যাচেই ভালো করেছে। এই ছেলেদের নিয়ে হতাশ হওয়াটা অসম্ভব।”
কানাডার বিপক্ষে প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন হুলিয়ান আলভারেস। বিরতির পরই গোলের দেখা পান মেসি। যদিও এই গোলে তার চেয়ে এনজো ফার্নান্দেসের কৃতিত্বই ছিল বেশি, কারণ তার গোলের জন্য নেওয়া শট মেসির গায়ে লেগে হয়ে যায় গোল। ম্যাচের অন্তিম সময়ে আর্জেন্টিনার রক্ষণের কঠিন পরীক্ষা নিলেও গোল আর করতে পারেনি কানাডা।