আজকের সারাদেশ ডেস্ক:
বাংদেশের রিজার্ভ কমে ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশের ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলারে নেমে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র।
দু’বছর আগে কোভিড-১৯ মহামারির সময় আমদানি-রপ্তানির চাহিদা কমে যাওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং আমদানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার পর থেকে কমতে শুরু করে ডলারের মজুদ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ বৈদেশিক মুদ্রা রপ্তানি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএমএফের নির্দেশিকা (ব্যালেন্স অফ পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল) বা বিপিএম৬-এর আলোকে ২৩ নভেম্বর দেশে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার।
নির্দেশিকা অনুযায়ী নিট রিজার্ভ মোট রিজার্ভের পরিমাণের চেয়ে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার কম হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘রিজার্ভ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা প্রতিদিন ব্যয় ও নতুন করে জমা হয়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার খবরে সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি দেশের একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা বিপিএম৬-এর প্রস্তাবিত একটি নির্দেশিকা বা সূত্র অনুযায়ী বৈদেশিক রিজার্ভ গণনা শুরু করে বাংলাদেশ।
নতুন হিসাব অনুযায়ী, সে সময় দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
আজকের সারাদেশ/২৮নভেম্বর/এএইচ