নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দর ও বিভিন্ন বেসরকারি ডিপোতে পড়ে থাকা আমদানি নিষিদ্ধ শুকরের বর্জ্যসহ মোট পাঁচ পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আমদানিকারকের আপত্তি বা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে সপ্তাহখানেক পরেই পণ্যগুলো ধ্বংস করার অপেক্ষায় রয়েছে সংস্থাটি।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর ও বিভিন্ন বেসরকারি ডিপোতে থাকা ২৬টি বিএল নম্বর ভুক্ত পণ্যচালান ধ্বংস তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে কামস্টমস। বিএলভুক্ত পণ্যচালানগুলোর বিপরীতে আমদানিকারকের কোন মামলা, আপত্তি বা নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে আগামী সাতদিনের মধ্যে জানাতে গতকাল ৩ জানুয়ারি একটি চিঠিও ইস্যু করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের ধ্বংস কমিটির তত্ত্বাবধানে পণ্যগুলো ধ্বংস করা হবে। বাংলাদেশে সম্পূর্ণ আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য মাছের খাবারে শুকরের বর্জ্য ধ্বংস তালিকায় রয়েছে। পাশাপাশি পোকা পড়া মোটর বুট, মাছ, মাংস ও ফল মাটি চাপা দেয়া হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার ও ধ্বংস কমিটির আহ্বায়ক সোমেন কান্তি চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও বিভিন্ন বেসরকারি ডিপোতে থাকা ২৬টি বিএলভুক্ত পণ্যচালানের মধ্যে অধিকাংশ আমাদের দেশে সম্পূর্ণ আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য মাছের খাবারে শুকরের বর্জ্য পাওয়া গেছে। পাশাপাশি পোকা পড়া মোটর বুট রয়েছে। এগুলো আমরা ল্যাবে পরীক্ষা করিয়েছি যা খাবার উপযুক্ত নয়। তাছাড়া রয়েছে মাছ, মাংস ও ফল। পণ্যচালানগুলোর বিপরীতে কোন মামলা বা আমদানিকারকের আপত্তি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন আপত্তি পাওয়া না গেলে আমরা সাতদিন পর পণ্যগুলো ধ্বংস করবো।