আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট- ‘র কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত এগোনোর প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ আমাদের একটা অগ্রাধিকার। বিশেষ করে, আবহাওয়া বার্তা পাঠানোর জন্য, নিরাপত্তা ইস্যুতে এটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। এটা নিয়ে সেপ্টেম্বরে এমওইউ হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের নির্বাচন ছিল। নিশ্চয়ই কাজটি দ্রুত এগোবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফ্রান্সের দূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
দুপুরে প্রথমে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি ম্যাসদুপুই ও পরে জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আসেন।
মন্ত্রী জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও জার্মান চ্যান্সেলরের অভিনন্দনবার্তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন দুই রাষ্ট্রদূত।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফ্রান্স ও জার্মানি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। স্বাধীনতার পরপরই যে দেশগুলো আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছিল, এই দেশ দুটি তাদের অন্যতম।
‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার হচ্ছে জার্মানি। ফ্রান্সও আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ওপরের দিকে। সম্পর্ক গভীর করতে আমাদের বিজনেস বাস্কেট বিস্তৃত করা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এয়ারবাস কেনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সফরে এটি আলোচনা হয়েছিল। আমাদের ইকোনোমি যখন পারমিট করবে, তখন আমরা পারব।’
জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের যুদ্ধশিশুদের নিয়েছিল জার্মানি। ফ্রান্সও কিছু নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার কারণেই ওই শিশুদের জন্ম হয়েছিল।
‘জার্মানি ওই সময় অনাথ হয়ে যাওয়া শিশুদের ব্যাপক হারে নিয়েছিল। আমাদের অনেক মুক্তিযোদ্ধাও পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন। তাদের বেশির ভাগকেই চিকিৎসা দিয়েছিল জার্মানি। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ফেব্রুয়ারিতে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানি যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সাইডলাইনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনাই দুই দেশের রাষ্ট্রদূত তোলেননি; বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় জার্মানির চ্যান্সেলর ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন বার্তার হার্ডকপি আমার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রদূত।’
আজকের সারাদেশ/২৫জানুয়ারী/এএইচ