আজকের সারাদেশ রিপোর্ট
দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দলটির সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয় শওকত মাহমুদকে।
গত বছরের এপ্রিলে শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল বিএনপি। তখনও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। মূলত তিনি পেশাজীবী সমাজের ব্যানারে একটি সমাবেশ ডেকে সরকার পতনের ডাক দিয়েছিলেন। সেই পটভূমিতে তখন ওই সমাবেশের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক ছিল না বলে দলটির নেতারা বলেছিলেন। এর আগে ২০১৯ এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরেও ঢাকায় দুটি বড় জমায়েত করে রাস্তায় নেমেছিল জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এবং পেশাজীবী পরিষদ। এরও নেতৃত্বে ছিলেন শওকত মাহমুদ। তখনও তাঁকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়েছিল।
সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ ‘ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন একটি জাতীয় সরকার গঠনের দাবি করা হয় শওকত মাহমুদের নেতৃত্বাধীন সংগঠনটি। পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠান থেকে জাতীয় সরকার গঠনের পর সেই সরকারকে বাংলাদেশের নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়। এই সংগঠনটির আহ্বায়ক কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার, সদস্যসচিব সাংবাদিক শওকত মাহমুদ।
বিএনপির মূল নেতৃত্বকে এড়িয়ে এই সংগঠনের এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি শুরু হয়। এই পটভূমিতেই শওকত মাহমুদকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক নেতা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হওয়া শওকত মাহমুদ শুধু বলেছেন-‘এটা দুঃখজনক।’