আজকের সারাদেশ রিপোর্ট
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মুথরাপুর পাবলিক হাই স্কুলে ১০ জোড়া যমজ ভাইবোন পড়াশোনা করছে।
যমজ ভাইবোনদের চেহারায় মিল থাকায় তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে খানিকটা বিড়ম্বনা হলেও তাদের নিয়ে ক্লাস করার বিষয়টি বেশ উপভোগ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীরা। দুইজন একসঙ্গে বেড়ে ওঠাকে বেশ গর্বের সঙ্গে দেখছে যমজ ভাইবোনেরা৷
জানা গেছে, বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে তাহসিন-তাসনিম ও সান-মুন, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে কার্তিক-গণেশ, হাবিব-হাফিজ ও সুমাইয়া-সাদিয়া, অষ্টম শ্রেণিতে শুভ-সৌরভ, নবম শ্রেণিতে হাসি-খুশি ও তাহবি-তাসবি এবং দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে আবিদ-অমিত ও রাহুল রাহা- চঞ্চল রাহা।
সপ্তম শ্রেণির যমজ দুই বোন সুমাইয়া ও সাদিয়া। তারা খুব আনন্দ আর খুশিতে ক্লাস করেন। তারা বলেন, আমাদের সব কাজ আমরা একসঙ্গে করি। আমাদের দুজনের প্রিয় রঙ হল নীল। আমরা একসঙ্গে স্কুলে আসি। একসঙ্গে ক্লাসে বসি। টিফিনের সময় আবার একসঙ্গে খেলাধুলা করে থাকি। ক্লাসের সময় একজনকে বকা দিলে আমাদের আরেকজনের খুব খারাপ লাগে। আবার আমরা কেউ যদি ভালো কিছু করি তাহলে মন থেকে ভালো লাগা কাজ করে। স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরা আমাদের চিনতে পারে না। তখন একসঙ্গে দুজনকে ডাকে তখন আমাদের খুব ভালো লাগে।
নবম শ্রেণির যমজ দুই বোন হাসি ও খুশি বলেন, আমরা আমাদের পুরো সময়টা একসঙ্গে কাটাই। আমরা যমজ হয়ে অনেক খুশি। পড়াশোনা করার সময় আমরা একজন আরেকজনের সহযোগিতা নিই। সব মিলিয়ে আমরা একজন আরেকজনের পরিপূরক। একজন আরেকজন ছাড়া চলতে পারি না। রাগারাগি হলে আবার কিছুক্ষণের মধ্যে মিলে যাই। আমরা যমজ হয়ে অনেক খুশি।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মামুনুর রশিদ বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি শ্রেণিতে যমজ শিক্ষার্থী আছে। ক্লাস নেওয়ার সময় একজন পড়া দিতে পারলে অপরজন খুশি হয়। আবার একজন না পারলে অপরজন মন খারাপ করে। তাদেরকে বুঝার কোনো উপায় নেই যে, কে কোনটা। সে কারণে একজনের নাম আরেকজনকে বলতে হয়। তবে তারা বেশ মেধাবী। আমরা আশা করছি তারা তাদের কর্মজীবনে ভালো কিছু করবে।
মুথরাপুর পাবলিক হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে ২০ জন যমজ ভাইবোন পড়াশোনা করে। তাদের নামগুলো প্রায় একই রকম ও চেহারার মিলও দেখা যায়। সে কারণে কোনটা কে সেটা বুঝতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তবুও আমরা যমজদের বিষয়টি বেশ উপভোগ করছি।