আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
রংপুরের কুড়িগ্রামে একটি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীতে গান গাইতে গিয়ে মঞ্চে মাতলামি ও অসংলগ্ন আচরণের ঘটনায় মুখ খুললেন সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। সেদিন মঞ্চে ওঠার আগে সামান্য মদ পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মদ পানের কথা স্বীকার করে নোবেল বলেন, ‘আয়োজকদের পক্ষ থেকে মদ সরবরাহ করা হয়েছিল। স্টেজে ওঠার আগে হালকা একটু রিলাক্সেশনের জন্য, হালকা একটু ফিলিংসের ভেতরে যাওয়ার জন্য একটু মদ পান করার দরকার পড়ে। অতিরিক্ত মদ পান করার ধারে কাছে যাইনি। স্টেজে ওঠার আগে সামান্য মদ পান করেছিলাম।’
সম্প্রতি স্থানীয় এক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেন নোবেল। এরই মধ্যে সাক্ষাৎকারটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে মদ সরবরাহের কথা অস্বীকার করে আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও ফুলবাড়ি জছিমিয়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদ আলী বলেন, ‘আয়োজকদের পক্ষ থেকে নোবেলকে মদ সরবরাহের কোনো প্রশ্নই আসে না। আর এটা সম্ভবই না। কোথায় এবং কীভাবে নোবেল মদ পেয়েছেন এবং পান করেছেন তা আমাদের জানা নেই। তবে সেদিন তিনি মদ পান করেই স্টেজে ওঠেছেন সেটা সত্য। এজন্য আমারা অত্যন্ত লজ্জিত এবং দুঃখিত।’
সংগীতশিল্পী নোবেল বলেন,‘এ ঘটনায় আমি অত্যন্ত অনুতপ্ত এবং দুঃখিত। হাঁটু গেড়ে হাতজোড় করে সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। এ রকম ঘটনা আর ঘটবে না।’
কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি ও উপলক্ষে গত ২৭ এপ্রিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পী নোবেল গান গাওয়ার জন্য আমন্ত্রিত ছিলেন। মঞ্চে উঠেই অসংলগ্ন আচরণ শুরু করেন তিনি। তার এমন আচরণ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা। একপর্যায়ে তারা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারতে থাকেন গায়ক নোবেলকে। পরে আয়োজক কর্তৃপক্ষ মঞ্চ থেকে সরিয়ে নেয় তাকে।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে নোবেলকে মাতলামি করা ছাড়াও মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ড ভাঙচুর করতে দেখা গেছে।
আজকের সারাদেশ /১ মে ২৩/ এসএম