আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
অনেক গল্পে অভিনয় করেছি আমি। কিন্তু কখনো ভাবিনি, কল্পনা করিনি, নিজের জীবনের গল্প এমন মর্মান্তিক হবে। হয়তো জীবনটাই এমন যেখানে বাস্তবতা কল্পনাকে হার মানায়।’ অনাগত যমজ দুই সন্তানকে হারিয়ে এইভাবে মর্মান্তিক দুঃখের কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ।
আগামী জুলাই মাসে ঘরে আসার কথা ছিল ফুটফুটে দুই যমজ ছেলে–মেয়ের। এই খবরে অসুস্থ স্ত্রীও মানসিকভাবে শক্তি পাচ্ছিলেন। অনাগত সন্তানের পথ চেয়ে প্রস্তুতিই নিচ্ছিলেন অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ ও তাঁর স্ত্রী শারমিন সাজ্জাদ। দুজন মিলে অনাগত ছেলের নাম রেখেছিলেন প্রিয়, মেয়ের নাম মায়া। ৫ মে ভারতের চেন্নাই থেকে দেশে ফেরার সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সুখের ফেরা হলো না। ফেরার আগে তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। করতে হয় অস্ত্রোপচার। কিন্তু অস্ত্রোপচার করে দুই সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। স্ত্রীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক ছিল। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক গল্পের শেষটা অন্য রকম দেখেছেন। কিন্তু সেসব গল্পকে যেন হার মানিয়েছে তাঁর বাস্তব জীবনের গল্প। সেই জীবনের গল্প বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন ইরফান।
চেন্নাই থেকে ইরফান বলেন, ‘পৃথিবীতে শুধু একটা জিনিসকে মানুষ তার একান্ত নিজের বলতে পারে। সেটা তার নিজের সন্তান। আল্লাহ আমাদের একসঙ্গে দুজনকে দিয়েছিলেন, আবার নিয়েও গেলেন। অনেক গল্পে অভিনয় করেছি আমি। কিন্তু কখনো ভাবিনি, কল্পনা করিনি, নিজের জীবনের গল্প এমন মর্মান্তিক হবে। হয়তো জীবনটাই এমন যেখানে বাস্তবতা কল্পনাকে হার মানায়।’
এই অভিনেতা আরো জানান, আমার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে সেই মূহুর্তে চিকিৎসকের হাতে কোন উপায় ছিল না আমাদের সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর। এখনও আমার স্ত্রী এখন অসুস্থ। এই পরিস্থিতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো মানসিক অবস্থা নেই। দোয়া করবেন যেনো সুস্থ স্ত্রী নিয়ে দেশে ফিরতে পারি। দু–এক দিনের মধ্যেই তাঁদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এ সময়ের বিজ্ঞাপন এবং নাটকের নিয়মিত মুখ ইফরান সাজ্জাদ। সিনেমাতেও দেখা গেছে তাকে। অভিনেতার স্ত্রী শারমিন সাজ্জাদ একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সংবাদ পাঠিকা।
আজকের সারাদেশ / ২৬ মে ২৩ / একে